যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের দেশে ফেরা আরও খানিকটা সহজ হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন, ইংল্যান্ডে ফিরে তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
তবে এই সুযোগ সব দেশ থেকে ফেরা ব্রিটিশ নাগরিকেরা পাবেন না। যেসব দেশ ব্রিটিশ সরকারের হলুদ তালিকায় (অ্যাম্বার লিস্ট) রয়েছে, সেই সব দেশ থেকে ফেরা ব্রিটিশ নাগরিকেরা এই সুবিধা পাবেন। আগের নিয়ম অনুসারে, লাল কিংবা হলুদ তালিকায় থাকা দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে গেলে তার অবশ্যই ১০ দিন আইসোলেশনে থাকতে হতো।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সরকার জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১৯ জুলাই থেকে। ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস এসব তথ্য পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের কাছে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, কোনো ব্রিটিশ নাগরিক যদি অ্যাম্বার তালিকাভুক্ত দেশ থেকে ফিরতে চান, তবে আগের মতোই যাত্রা শুরুর আগে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া ফেরার পরও ওই নাগরিককে পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু আইসোলেশনে থাকতে হবে না।
তবে আরও কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা দেশে ফিরছেন, তারা যদি ১৪ দিন আগে এই টিকা নিয়ে থাকেন, তবে এই সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
শুধু ইংল্যান্ড নয় যুক্তরাজ্যের অন্য অঞ্চলগুলোও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে বলা জানা গেছে। নর্দান আয়ারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ২৬ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে। আর ওয়েলস বলেছে, তারাও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে। তবে কবে থেকে সেখানে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, তা এখনো জানানো হয়নি।
ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, ইতালি, মালয়েশিয়া, আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়ামসহ বেশ কয়েকটি দেশ হলুদ তালিকায় রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে ডেলটা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল জুনের শেষ দিকে সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া থেকে পিছিয়ে যাওয়া। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, ১৯ জুলাই থেকে দেশটিতে সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
১১ জুলাই ২০২১
নিউজ ডেস্ক