ঋষি সুনাককে তার সরকারের সেই মন্ত্রীকে চিহ্নিত করে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তারা মনে করেন মধ্য প্রাচ্যে তথা গাজায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য কনজারভেটিভ পার্টিকে ভুগতে হতে পারে কারণ সামনে ইলেকশন বিদ্যমান। এনএনপির এই মন্তব্য স্কাই নিউজের খবরে জানা যায়।
এসএনপি প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কাছে দাবি উত্থাপন করেছে সঠিক তদন্তের। কারণ মন্ত্রীদের অযাচিত কথায় কনজারভেটিভ পার্টিকে লজ্জিত করেছে বলে তারা মনে করেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে একজন টোরি মন্ত্রী স্কাই নিউজের
উপ -রাজনৈতিক সম্পাদক স্যাম কোটসকে বলেছিলেন, তারা উদ্বিগ্ন গাজা পরিস্থিতি নিয়ে। গাজায় শান্তি চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু পরিস্থিতি যদি নির্বাচনের আগে পরিবর্তিত না হয় তাহলে লেবার দল ভোটারদের দ্বারা চাপে থাকবে।
কনজারভেটিভ দলের মন্ত্রী এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন গত সপ্তাহে বাজেট টোরি দলের সাংসদদের উজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করা হয়। যেখানে বাজেটে দল ও দেশের জনগণকে উজ্জীবিত করার পর ইলেকশনের ডাক দেয়ার কথা ছিল ঋষি সুনাকের।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আইটিভিকে জানান আগামী নির্বাচন ২ মে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভাব্য স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচন ও মেয়র নির্বাচনও মে মাসে সংগঠিত হবার কথা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মিঃ সুনাক এর আগেও আগামী নির্বাচন এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠিত হবার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও তারিখ বা মাস নিয়ে তিনি নির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য আগে করেন নাই।
কনজারভেটিভ মন্ত্রীর মন্তব্যে সাড়া দিয়ে এসএনপির বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র ব্রেন্ডন ও’হারার বলেছেন, “যুক্তরাজ্য সরকার বারবার গাজা ও ইসরায়েলের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির এসএনপি আহ্বানে সাড়া দেয় নাই। এখন মনে হচ্ছে টোরি মন্ত্রীরা সক্রিয়ভাবে যুদ্ধবিরতি প্রতিরোধ করতে চান তাদের নির্বাচনকে সামনে রেখে।”
তিনি আরো বলেন ফিলিস্তিনে ত্রিশ হাজারের বেশি শিশু, মহিলা এবং পুরুষ নিহত হয়েছেন এবং টোরি মন্ত্রীরা শান্তি ব্যবস্থার চেয়ে তাদের নির্বাচনী সম্ভাবনা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন, এটি লজ্জাজনক।
উল্লেখ্য যে, গাজা ও ইসরায়েলের যুদ্ধে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। স্বাভাবিক শিশুদের জন্মও বিঘ্ন হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। এরই মাঝে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশে নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে বিধায় যুদ্ধ পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৭ মার্চ ২০২৪