10.3 C
London
November 17, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশে হিন্দু নিগ্রহে’র প্রসঙ্গই নেই বাইডেনের দফতরের বিবৃতিতে!

বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথার পরে মোদী এক্স পোস্টে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ইউক্রেনের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশও। সোমবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পরে এ কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু হোয়াইট হাউসের সরকারি বিবৃতিতে সে প্রসঙ্গের কোনও উল্লেখই রইল না। মোদীর দাবি ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন।

বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথার পরে মোদী এক্স পোস্টে লিখেছিলেন, ‘‘বাইডেনের সঙ্গে আজ ফোনে কথা হয়েছে। ইউক্রেনের পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমাদের বিশদ মতবিনিময় হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। জোর দিয়েছি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপরে।’’

যদিও তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতন এবং হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগের কোনও উল্লেখই নেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেন জুনিয়র আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন। নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সফরের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রসঙ্গও।’’

নরেন্দ্র মোদির টুইট নিয়ে ভারতে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে বলে জানা যায়। নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মিথ্যাচার এখনের যুগে খুব দ্রুত ধরা সম্ভব কারণ সবকিছু অনলাইনে চলে আসে। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী যেকোনো প্রসঙ্গে কথা বলতে বা প্রচার করতে আরো অনেক সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবস্থান করা নিয়েও ভিন্নমত রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে জানা যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একটি দেশ ও তার জনসাধারণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির চেয়ে এই বিষয় নিয়েও বিজেপি জোট সরকারের ভাবনার সময় এসেছে।

উল্লেখ্য যে, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের জেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। তার পর বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং ধর্মস্থান ভাঙচুরের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির কট্টরপন্থী দল জামাতে ইসলামির বিরুদ্ধে। মোদী বিষয়টি নিয়ে আগেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। গত ১৫ অগস্ট ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে মোদী এ প্রসঙ্গে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘১৪০ কোটি ভারতীয় হিন্দু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়েরা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।’’

সূত্রঃ আনন্দবাজার

এম.কে
২৮ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

ঢাকায় নতুন ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক

নিউজ ডেস্ক

আয়নাঘর থেকে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমী মুক্ত

ঈদবাজারে বিক্রি হচ্ছে না ভারতীয় পোশাক