অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে এবার ব্রিটিশ সরকারের নজর বিদেশি শিক্ষার্থীদের দিকে। শিক্ষার আড়ালে যেন দেশটিতে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রণয়ন করা হচ্ছে একের পর এক কঠিন আইন। এখন থেকে শিক্ষার্থীরা পুরো কোর্স শেষ না করে পাবেন না ওয়ার্ক পারমিট।
ব্রিটেনে উচ্চ শিক্ষায় আসা বাংলাদেশিসহ বিদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত অভিবাসন আইনের পরিবর্তনের কারণে পড়ছেন বিপাকে। কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই পরিবর্তিত এসব আইনে দিশেহারা হওয়ার উপক্রম অনেকের। বিদেশি শিক্ষার্থীরা ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিটকে অন্যতম রুট হিসেবে বেছে নিলেও এখন সেটাও হয়েছে অনেক কঠিন।
গেল বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া অভিবাসন আইনে এখন থেকে কোন শিক্ষার্থী পুরো কোর্স শেষ না করে ওয়ার্ক পারমিটে যেতে পারবেন না।
যেসব স্টুডেন্টদের কোর্স এখনও শেষ হয়নি কিন্তু কাজের অফার পেয়ে গেছেন, তারা কাজ শুরু করতে পারবেন না যদি স্টার্টিং ডেইট কোর্স কমপ্লিট করার পর না হয়। শুধুমাত্র একটু ব্যতিক্রম হচ্ছে যারা পিএইচডি করতে আসবেন, তারা দুই বছর পড়াশোনা বা রিসার্চ করার পর ওয়ার্ক পারমিটে যেতে পারবেন।
অভিবাসন নীতিমালা নিয়ে সংকটের সুযোগে উচ্চশিক্ষার আড়ালে অভিবাসী সংখ্যা যেন না বাড়ে সেজন্য কঠোর অবস্থানে রয়েছে ব্রিটিশ সরকার। তবে বর্তমান এই নীতিমালায় প্রকৃত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গেল শিক্ষাবর্ষে ব্রিটিশ সরকার ৪ লাখ ৮০ হাজার স্টুডেন্ট ভিসা ইস্যু করেছে, যা ২০২১ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় দ্বিগুণ।
প্রতিনিয়ত অভিবাসনের আইনের পরিবর্তনের কারণে পড়ালেখার পাশাপাশি উপার্জন করে ব্রিটেনে টিকে থাকান কঠিন হয়ে উঠছে। শুধু তাই নয়, বাধ্য হয়ে অনেকে দেশে ফিরে গেছেন, কেউ আবার পাড়ি জমিয়েছেন প্রতিবেশী দেশগুলোতে।
এম.কে
২১ জুলাই ২০২৩