প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক মার্কিন নাগরিক ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় ১ হাজার ৯৩১ জন আমেরিকান আবেদন জমা দিয়েছেন। এই সংখ্যা ২০০৪ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ এবং আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১২% বেশি।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু অস্থায়ীভাবে না, মার্কিন নাগরিকদের যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন গত বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। ২০২৪ সালে ৫ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি আমেরিকানকে ব্রিটেনে স্থায়ী মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল, যা ২০২৩ সালের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ বেশি।
ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আমেরিকানদের আবেদন শেষবারের মতো বেড়েছিল ২০২০ সালে, ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্টের মেয়াদের সময় এবং কোভিড-১৯ মহামারীর সময়।
সিএনএন জানিয়েছে, অন্যান্য তথ্য থেকে আরও দেখা গেছে, ২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে ৫,৮০০ জনেরও বেশি আমেরিকান তাদের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন, যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি।
প্রতিবেদন অনুসারে, যদিও অনেক আমেরিকান যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অন্য কোথাও জীবন গড়তে চাইছেন, তবে তা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমার গত সপ্তাহে বলেছিলেন, সরকার বৈধ অভিবাসীদের জন্যও প্রয়োজনীয় বিষয়াদি আরও কঠোর করবে। সেই সঙ্গে নতুনদের নাগরিকত্ব আবেদন করার জন্য অপেক্ষার সময় বাড়িয়ে দেবে।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইতালিও অভিবাসী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করেছে। দেশটি ইতিমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের জন্য ভিসা নিয়ম কঠোর করেছে।
সূত্রঃ সিএনএন
এম.কে
২৪ মে ২০২৫