ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে নিয়ে সাম্প্রতিক সমালোচনার পাল্টা জবাবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য কোনোভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ নয়। তিনি আরও বলেন, এমপিরা কঠোর তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন এবং যারা নিয়ম ভঙ্গ করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বগণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। কনজারভেটিভ এমপিদের দ্বিতীয় চাকরি এবং স্যার জিওফ্রে কক্সের বেতনের বাইরে কাজ করা বিষয়ক তদন্তের জের ধরে সমালোচনার প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন, জানিয়েছে বিবিসি।
এছাড়া ১১ নভেম্বর গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, বিশ্বের উষ্ণতা রোধের জন্য যা যা করণীয় তা তারা করেছেন। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। বিশ্ব উষ্ণায়ণ রোধের জন্য তাদের এখনও অনেক কাজ করা বাকি আছে।
বরিস জনসন জানান, ২০২২ সালের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গুলি থেকে কিভাবে আরও কম পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগদানকারী দেশগুলি বিশ্বের উষ্ণায়নের ১.৫ লক্ষ্য সীমা রেখেছিল। ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বলা হয়েছিল, বিশ্ব উষ্ণায়ণের পরিমাণ ২.০ সেলসিয়াস থেকে ১.৫ সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এর প্রেক্ষিতে জনসন বলেছেন যে, প্যারিসের সেই চুক্তির সম্মেলনে যে দেশগুলো স্বাক্ষর করেছিল তাদের এই চুক্তির কথা মনে রাখা দরকার।
১১ নভেম্বর ২০২১
এনএইচ