1.6 C
London
November 23, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

রাজনীতিবিদ পদত্যাগের পর ফিরছেন সাংবাদিকতায়

পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের পর সাংবাদিকতায় ফিরছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইলে কলামিস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এখন থেকে প্রতি শনিবার পত্রিকাটিতে তিনি কলাম লিখবেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমের মতে, কলামে যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নানান পদক্ষেপ বিষয়ে জনসন তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ব্যবসা বিষয়ে সবচেয়ে বুদ্ধিমান, মৌলিক ও খ্যাতিমান লেখকদের একজন বরিস। আপনি বরিস জনসনের ভক্ত হন বা না হন, ওয়েস্টমিনস্টারসহ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে তার লেখা পড়তেই হবে। আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তার দুর্দান্ত অভিষেক অবতারণা হবে, যেখানে থাকছে চমক।’

ব্রিটেনের সবচেয়ে সমালোচিত প্রধানমন্ত্রীদের একজন বরিস জনসন। গত ৯ জুন এক বিবৃতি দিয়ে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জনসন। এর আগে পার্টি গেইট কেলেঙ্কারির কারণে গেল বছর প্রধানমন্ত্রিত্বও ছাড়তে হয়েছিল তাকে।

এর পরও ব্যস্ততা কমেনি জনসনের। প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর বিশ্বজুড়ে বক্তব্য দিয়েও তিনি লাখ লাখ পাউন্ড কামিয়েছেন বলেই ধারণা করা হয়।

নানান ‘কেলেঙ্কারির’ জনক জনসনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। টাইমসে কাজ করার সময় একজনের নামে মনগড়া এক বিবৃতি দেওয়ার কারণে পত্রিকাটি তাকে বহিষ্কারও করেছিল। ডেইলি টেলিগ্রাফের ব্রাসেলস সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।

একসময় রাজনীতি আর সাংবাদিকতা একসঙ্গে চালিয়েছিলেন তিনি। সংসদ সদস্য এবং স্পেক্টেটর ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলেছিলেন জনসন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত ডেইলি টেলিগ্রাফে নিয়মিত কলামও লিখেছেন।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে টেলিগ্রাফেরই এক কলামে তিনি বলেছিলেন, বোরকা পরা মুসলিম নারীদের দেখলে তার ডাকবাক্স বা ব্যাংক ডাকাতদের মতো লাগে। এই মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে ইসলামোফোবিয়ার অভিযোগও ওঠে।

এম.কে
১৭ জুন ২০২৩

আরো পড়ুন

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ির চেষ্টা ৩০ শতাংশ কমেছে

চালুর পর সর্বোচ্চ টোল আদায় হলো বন্ধবন্ধু সেতু থেকে

নাগরিকত্ব ফিরে পেলেন রাষ্ট্রহীন হওয়া সেই ব্রিটিশ বাংলাদেশি