পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেছেন, রাশিয়া তার আক্রমণের মূল লক্ষ্যে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও ইউক্রেনে বিজয় দাবি করতে পারে।
তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইন্ডিপেন্ডেন্টকে জানান, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে আগামী সময়েও সমর্থন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে এই যুদ্ধের “জয়” কী হবে তা “পুনরায় সংজ্ঞায়িত” করতে চলেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
২৪ ফেব্রুয়ারি যখন রুশ প্রেসিডেন্টের সেনারা ইউক্রেন আক্রমণ করে, তখন তাদের লক্ষ্য ছিল কিয়েভ দখল করা। কিন্তু ব্যপক লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ এবং শক্তিশালী ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের কারণে তারা সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয় এবং সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে প্রচেষ্টাকে পুনরায় কেন্দ্রীভূত করে।
রাশিয়া ৯ মে বিজয় দিবস পালন করবে। এটি এটি নাৎসি জার্মানির আত্মসমর্পণকে স্মরণ করবে এবং তারিখটিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। বলা হচ্ছে, এই দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে একটি ঘোষণা দিতে পারেন পুতিন।
“পুতিন তার প্রাথমিক প্রাক-যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণে স্পষ্টতই ব্যর্থ হয়েছেন, তবে এখনও জয়ী হওয়ার অবস্থানে আছেন,” সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
রাশিয়ার জন্য সাফল্য হতে পারে ডনবাসের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ একীভূত করা এবং ক্রিমিয়ার সাথে একটি স্থল সেতু নির্মাণ। যদিও কিয়েভ আক্রমণের আরেকটি প্রচেষ্টা করতে পারে রাশিয়া।
২৩ এপ্রিল ২০২২
এনএইচ