রাইটমোভের মতে, ভাড়া বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার চাপের ব্যয় অব্যাহত বাড়তে থাকায় বড় শহরগুলিতে বসবাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন প্রোপার্টি পোর্টাল বলেছে, ভাড়াটেদের একটি বৃহত্তর অংশ গত বছরের তুলনায় যেখানে তারা বাস করে সেখান থেকে সরে যেতে চাইছে।
তাদের মতে, ল্যান্ডলর্ডরা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১২% ভাড়া বাড়িয়েছে। এছাড়া বাড়ি ভাড়ার চাহিদাও অনেক বেশি। ফক্সটন প্রপার্টি পোর্টালের নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, লন্ডনের বাসাভাড়া অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আয়ের অন্য কোনো বিকল্প বৃদ্ধি না পাওয়ায় লোকেরা লন্ডন শহর হতে দূরে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে ।
দ্যা এস্টেট এজেন্সির প্রধান নির্বাহী গাই গিটিনস বলেন, বাসা ভাড়ার ক্ষেত্রে লোকেশনের উপরে চিন্তা করে ভাড়াটিয়াদের কম্প্রোমাইজ করতে হবে। লন্ডন শহরে বাসা ভাড়া অন্য শহর হতে সামান্য বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
রাইটমোভের ডেটা থেকে জানা গেছে ৪২% ভাড়াটে এখন বর্তমানে যে শহরটিতে বাস করে সেখান থেকে চলে যেতে চাইছে। লন্ডন হল ১০ টি বৃটিশ শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তাই এই শহরে বসবাসের খরচ বেশি হয়ে থাকে।
এডিনবার্গ সিটি সেন্টার এলাকায় গত বছরের তুলনায় গড় ভাড়া ১৯% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। রাইটমোভের টিম ব্যানিস্টার বলেছেন,”ব্যয়ের চাপ এবং চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীনতার কারণে ভাড়াটেরা বিপদে আছে।
সারাবিশ্বের লোকেদের জন্যই ২০২২ সালের শেষের দিক হতে অর্থনৈতিক মন্দা তাদের জীবনযাত্রায় বিশাল
প্রভাব ফেলা শুরু করেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাটাই অভিযান শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে আরো বেশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্ম দিবে বলে জানিয়েছে বৃটিশ গণমাধ্যম।