সরকারি চাকরিজীবী নারী-পুরুষদের এখন থেকে ‘স্যার’ ডাকার নিয়ম বাতিল বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান।
মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, চাকরিতে পুরুষ-মহিলা সবাইকে স্যার ডাকার নিয়ম বাতিল। বিগত সরকার জেন্ডার পরিবর্তন করে দিয়েছিল। পুরুষ-মহিলা সবাইকে বাধ্যতামূলক স্যার ডাকতে হতো। ৫ আগস্টের পর থেকে এটা শেষ। এখন থেকে পুরুষ অফিসার মিস্টার, মহিলা অফিসার মিস। এগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে সব সচিবদের অনুরোধ জানাব, জনস্বার্থে যে যে তথ্যগুলো দেওয়া যায় সেটা আমরা কেন দেব না? এক্ষেত্রে আমরা যেন সবাই পজিটিভ থাকি। আমরা জনকল্যাণমুখী সুপারিশ দেব। সরকার সেটা থেকে কতটুকু নেবে সেটা সরকারের বিষয়।
এদিকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডার হিসেবে না রেখে এই দুই ক্যাডারকে আলাদা করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সদস্যসচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এ কথা জানান।
আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, শিক্ষা ক্যাডারটা অযৌক্তিক। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা আলাদা। আমরা সুপারিশ করছি, এটি ক্যাডার রাখা যাবে না। যেমন- একজন চোখের ডাক্তার, একজন দাঁতের ডাক্তার, আরেকজন জেনারেল ফিজিশিয়ান- পদোন্নতি কি তারা একসঙ্গে পাচ্ছেন? পাচ্ছেন না। সে জন্য আমরা বলেছি, এটা ক্যাডারে রাখা যাবে না। এটা আমাদের চিন্তা যে, এটা ক্যাডার করা অযৌক্তিক হয়েছে। এগুলোকে আলাদা করতে হবে। বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হোক, এটা বিশেষায়িত বিভাগ। এই দুই বিভাগ ছাড়া বাকি সবই ক্যাডারে থাকতে পারবে কিন্তু এই বিভাগে এটা সম্ভব নয়। আমাদের ধারণা এটা। এখন আমরা আলাপ-আলোচনা করব।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে সরে গিয়ে আমাদের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন আলাদা হয়েছে। ঠিক এ রকম আমরা স্বাস্থ্য কমিশন আলাদা ও শিক্ষা ক্যাডারকে আলাদা করার পরামর্শ দিয়েছি।
এম.কে
২১ ডিসেম্বর ২০২৪