2.2 C
London
November 23, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

সরকারের প্রতি দলীয় এমপিদের অনাস্থা, সরে দাঁড়াতে চান থেরেসা মে

২৭ বছর ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আছেন তিনি এরমধ্যে সামলেছেন প্রধানমন্ত্রীর পদও। এবার পার্লামেন্টে আর না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে পার্লামেন্টের এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন কনজারভেটিভ দলের এ নেত্রী।

সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, হাউস অব কমন্সের এমপি পদ থেকে সরে দাঁড়ানো বা দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া নেতাদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে আলোচিত। মেইডেনহেড নির্বাচনী এলাকার অ্যাডভারটাইজারকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তিনি অন্য কাজগুলোতে মনোযোগ দিতে চান। এর মধ্যে আধুনিক দাসত্ব ও মানবপাচার নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তার।

১৯৯৭ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হওয়া থেরেসা মে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই আমি ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে নিজের মতো কাজ করে গেছি। ওই সময়ই আধুনিক দাসত্ব ও মানবপাচার সংক্রান্ত গ্লোবাল কমিশনের সঙ্গে কাজ করেছি। এ কাজ চালিয়ে যেতে চাই।’

আগামী নির্বাচনের আগে সম্প্রতি পরিচালিত একটি জরিপ থেকে জানা যায়, এবার কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে লেবার পার্টি এগিয়ে। আগামী নির্বাচনে কনজারভেটিভের হয়ে আর লড়বেন না বলে এরই মধ্যে থেরেসা মেসহ ৬৪ জন এমপি জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে পার্লামেন্টে যোগ দেওয়ার পর এ পর্যন্ত কোনো টার্মে কখনো এই দলের এতজন এমপি পার্লামেন্ট থেকে সরে দাঁড়াননি।

কনজারভেটিভ পার্টির একেকজন এমপি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আর সমালোচনা শুরু করেন লেবার পার্টির এমপিরা। এবার তারা বলছেন, এভাবে থেরেসা মে এমপি পদ থেকে সরে যাওয়ার মানে তিনি আসলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন।

সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সময় ২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন থেরেসা মে। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ক্ষমতায় থাকার সময়টা ছিল টালমাটাল সময়। তখন ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে ছিল তোলপাড়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১০ মার্চ ২০২৪

আরো পড়ুন

হিথ্রো বিমানবন্দরে ইউরেনিয়াম পরিবহনের দায়ে গ্রেফতার ১

নিউজ ডেস্ক

লকডাউনে পার্টির ঘটনায় বরিস জনসন ও রিশি সুনাককে জরিমানা

ব্রিটেনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি শিশুরা স্থূলতায় এগিয়ে