যুক্তরাজ্যের হোম অফিসে কর্মরত এক কর্মকর্তা নিজের পদমর্যাদা ও দায়িত্বের অপব্যবহার করে টাকা নিয়ে আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর করায় সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
৩৯ বছর বয়সী ইমরান মুল্লা, ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্ল্যাকবার্নের বাসিন্দা, ম্যানচেস্টারে অবস্থিত হোম অফিসের অ্যাসাইলাম টিমে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন।
তিনি হোম অফিসের অভ্যন্তরীণ সিস্টেম থেকে আশ্রয় প্রত্যাখ্যাত বাংলাদেশি নাগরিক নুরুল আমিন বেগের তথ্য সংগ্রহ করে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেন এবং আবেদন মঞ্জুর করার বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ নুরুল আমিন বেগের আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। পরদিন মুল্লা তাকে ফোন করে £১,৫০০ ঘুষ চান এবং ১৩ মার্চ নীতিমালা ভেঙে নিজেই মামলাটি নিজের কাছে এনে আবেদন মঞ্জুর করেন।
পরবর্তী মাসে নুরুল আমিন বেগ আরো £৩,৫০০ পাউন্ড মুল্লাকে প্রদান করেন।
এছাড়া ইমরান মুল্লা তুরস্কের আরেকজন আশ্রয়প্রার্থীকে ফোন করে নিজের পরিচয় গোপন রেখে প্রত্যাখ্যাত আবেদনে সাহায্য করার আশ্বাসের বিনিময়ে আরো ২০০০ পাউন্ড গ্রহণ করেন।
তুরস্কের ঐ আশ্রয়প্রার্থী পরবর্তীতে নিজের সলিসিটরের মাধ্যমে বিষয়টি রিপোর্ট করেন। যার প্রেক্ষিতে ১৯ মার্চ ২০২৪ ইমরান মুল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মুল্লা কোনো মন্তব্য না করলেও তদন্ত চলাকালে তিনি নুরুল আমিন বেগের কাছ থেকে আরও অর্থ গ্রহণ করেন।
মুল্লা ঘুষ গ্রহণ, অবৈধ অভিবাসনে সহায়তার ষড়যন্ত্র ও সরকারি কম্পিউটার ব্যবস্থায় অনুমতি ছাড়া প্রবেশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন।
নুরুল আমিন বেগ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ও অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা গ্রহণের ষড়যন্ত্রে দোষ স্বীকার করেন এবং তাকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের (CPS) ফ্রান্সেস কিলিন বলেন, “ইমরান মুল্লা হোম অফিসের দায়িত্বশীল অবস্থানে থেকেও নিজের পকেট ভারী করতে আস্থার চরম অপব্যবহার করেছেন।”
তিনি বলেন, এই রায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান গ্রহণের একটি পরিষ্কার বার্তা।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৫ জুন ২০২৫