অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এবং ব্র্যাড পিট আট বছরের তিক্ত আইনি লড়াইয়ের পর বিবাহবিচ্ছেদের নিষ্পত্তি করেছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে বলেন, আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
ব্র্যাড পিট এবং অ্যাঞ্জেলিনা জোলি মধ্যে বিতর্ক এখনও শেষ হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। ফ্রান্সের একটি দুর্গ এবং আঙুরের বাগানের যৌথ মালিকানা নিয়ে এখনও তাদের মধ্যে লড়াই চলছে।
গতকাল পিট এবং জোলি তাদের বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। এই তারকা দম্পতি একসঙ্গে দশ বছর কাটানোর পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
জোলির আইনজীবী জেমস সিমন বলেন, “আট বছরেরও বেশি আগে অ্যাঞ্জেলিনা মিস্টার পিটের বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। তিনি এবং তার সন্তানরা মিস্টার পিটের সঙ্গে ভাগ করা সব সম্পত্তি ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
তারপর থেকে জোলি তাদের পরিবারের শান্তি ও সুস্থতা খুঁজে পাওয়ার উপর মনোযোগ দিয়েছেন।
এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার একটি অংশ, যা আট বছর আগে শুরু হয়েছিল। অ্যাঞ্জেলিনা ক্লান্ত, তবে এই অংশ শেষ হওয়ায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন।”
পিট অভিযোগ করেছেন, জোলি তার ৬২ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি স্টোলি গ্রুপে তার অনুমতি ছাড়াই বিক্রি করেছেন।
উভয় পক্ষই মিরাভাল মামলাটি জুরি ট্রায়াল বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে।
জোলি বিয়ের মাত্র দুই বছর পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। তারা একসঙ্গে দশ বছর কাটানোর পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেন।
জোলি আদালতে অভিযোগ করেন যে পিটের “শারীরিক নির্যাতনের ইতিহাস” রয়েছে।
অভিযোগ ওঠে, পিট একটি প্রাইভেট জেটের ভেতরে জোলি এবং তাদের ছয় সন্তানের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান।
জোলি আরও দাবি করেন, পিট তাকে ৮.৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি গোপনীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। যাতে তার “বহু বছরের নির্যাতন” ঢেকে রাখা যায়।
পিট সবসময় এই নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং পুলিশের তদন্তের পর তিনি অভিযোগ থেকে মুক্তি পান।
২০১৯ সালে তাদের আইনি বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হয়, যদিও তাদের আইনি লড়াই এরপর হতে চলতেই থাকে।
৬১ বছর বয়সী পিট প্রায় দুই বছর ধরে লস অ্যাঞ্জেলেসের জুয়েলারি ডিজাইনার ইনেস ডি রামনের (৩৪) সঙ্গে সম্পর্কে আছেন।
৪৯ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলিনা সম্প্রতি ব্রিটিশ র্যাপার আকালার (৪০) সঙ্গে ডেটিংয়ে দেখা গিয়েছে বলে তথ্যানুযায়ী জানা যায়।
সূত্রঃ দ্য সান
এম.কে
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪