অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নতুন আইন পাশ না করতে দেশটির আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার দুনিয়া মিয়াতোভিচ৷
অভিবাসনবিরোধী এই বিলটি ঠেকাতে সোমবার পার্লামেন্টের দুই কক্ষের আইনজীবীদের প্রতি চিঠি দিয়েছেন দুনিয়া মিয়াতোভিচ৷
অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত আইনটি মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি৷
ছোট নৌকায় চেপে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকানোকে তার সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক৷ এতে সফল হলে আগামী বছরের নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও মনে করেন তিনি৷
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের দুই কক্ষের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে কাউন্সিল অব ইউরোপের দুনিয়া মিয়াতোভিচ বলেছেন, অভিবাসনবিরোধী বিলটি ব্রিটেনে অনিয়মিতভাবে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেবে৷
তিনি বলেন, “আইনটি প্রণয়নে দেশটির আইনপ্রণেতাদের বাধা দেওয়া উচিত৷ কারণ, এটি যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷’’
গত কয়েক বছরে যুক্তরাজ্যে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী এবং অভিবাসীদের সুরক্ষায় যে রক্ষণশীল ভূমিকা দেখা গেছে বিলটি পাস হলে তা আরো গতি পাবে বলেও মনে করেন মিয়াতোভিচ৷
যুক্তরাজ্য সরকার অবশ্য বলেছে, ফ্রান্স থেকে ছোট নৌকায় আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন সীমিত করতে এবং মানবপাচারকারী চক্রের কার্যক্রম ভেঙে দিতে বিলটি প্রয়োজন৷
ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য চান বিলটি আইন আকারে পাস হোক৷ শুধু তাই নয়, তাদের অনেকে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন (ইসিএইচআর) থেকে বের করে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
সুনাক বলেছেন, ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলার ক্ষেত্রেও নতুন আইন প্রবর্তন করতে পারে যুক্তরাজ্য৷
সোমবার সাংবাদিকদের ঋষি সুনাক বলেন, “যেভাবেই হোক অভিবাসন বিলটি কার্যকর হবে৷ তবে এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলি৷ এটি এমন একটি দেশ এবং একটি সরকার, যারা আইন মেনে চলে৷”