বুধবার প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে সুদের উচ্চহারের কারণে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অত্যাধিক চাপে পড়েছে। এই চাপ হতে মুক্ত হবার জন্য অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে মারাত্মক ঋণাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
অর্থনৈতিক এই মন্দাভাবের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ভাড়া প্রদানেও আটকে পড়েছে। তাছাড়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট একটি সংস্থা কেপিএমজির রিপোর্টে জানা যায়, চাকুরী প্রার্থীদের সংখ্যা তীব্র বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেপিএমজি ইউকে -র অংশীদার ক্লেয়ার ওয়ার্নেস বলেন, কৃচ্ছসাধন করে অনেক প্রতিষ্ঠান এই দুঃসময়ে টিকে থাকতে চাচ্ছে বিধায় তারা অযথা খরচ কমিয়ে আনতে কর্মী ছাটাই করে যাচ্ছে। একদিকে যখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাটাই করছে অন্যদিকে বেকারদের হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতি কমিটির সদস্য জোনাথন হাস্কেল বলেন, একদিকে যখন শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর জন্য আওয়াজ তুলেছেন, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাটাই করে যাচ্ছে। এতে দুর্বল অর্থনৈতিক পটভূমির সৃষ্টি হবে।
উল্লেখ্য যে, এনএইচএস ও আরো কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মী সংকটের কথা জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন হতে। যুক্তরাজ্য সরকার কাজের ঘাটতি পূরণের জন্য বিদেশী কর্মী আনয়নে প্রস্তাব পাস করেছে বলে জানা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন এজেন্সি হতে কর্মী রিক্রুট করে এনএইচএস অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা বিদেশী কেয়ার হোম ওয়ার্কারদের জন্য নজরদারি বাড়ানোর প্রতি মত দিয়েছেন। যাতে স্বাস্থ্যখাতে বিপর্যয় রুখতে বিদেশি কর্মী এনে হলেও সেবাপ্রদান অব্যাহত রাখা যায়।
এম.কে
০৯ নভেম্বর ২০২৩