আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়াকে ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত যা তালেবানের ক্ষমতা দখল প্রচেষ্টা ‘ত্বরান্বিত’ করেছে বলে সমালোচনা করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস।
স্কাই নিউজকে দেওয়া বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্ভবত এর ফল ভোগ করবে।”
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বলেছিলেন যে তালিবানরা আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার এবং হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহ দখল করেছে।
এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বেন ওয়ালেস, নিশ্চিত করেন, ইউকে আফগানিস্তানে ছয়শ সৈন্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে, যাতে দোভাষী এবং ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীসহ তিন হাজার লোককে সাহায্য করা যেতে পারে।
ওয়ালেস বলেন, আফগানিস্থান থেকে সেনা প্রত্যাহার চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনাটি যুক্তরাজ্য প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের সৈন্য প্রত্যাহার করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই, কারণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তখন আমরা সবাই বুঝে গিয়েছিলাম আমাদেরকে চলে যেতে হবে।
সেনা প্রত্যাহার করাটা কত বড় ভুল তা জানতে চাইলে ওয়ালেস বলেন, ট্রাম্পের সাথে তালেবানের চুক্তির সময় আমি অনুভব করেছি যে এটি একটি ভুল। আন্তর্জাতিক কমিউনিটিতে আমরা সবাই হয়তো এর পরিণতি ভোগ করব।
তিনি যোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি বিরল, কিন্তু কৌশলগতভাবে এটি অনেক সমস্যার কারণ এবং একটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হিসাবে, আমরা যা দেখছি তার জন্য এটি খুব কঠিন।
আফগানিস্তানের সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হয়ে ওঠার হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়ালেস বলেন, আমি চিন্তিত যে ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলো সন্ত্রাসবাদী মানুষদের প্রজননক্ষেত্র। এ কারণেই আমি অনুভব করেছি যে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল না। কারণ আল-কায়েদা সম্ভবত ফিরে আসবে।
১৩ আগস্ট ২০২১
এনএইচ