বৃটিশ সংবাদমাধ্যমের একটি নতুন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের পাঁচটির মধ্যে একটি রাস্তার অবস্থা খুবই করুণ।
স্থানীয় প্রায় প্রতিটি রাস্তাতেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে
ভাঙ্গাচোরা,খানাখন্দ বিরাজ করছে।
স্থানীয় প্রশাসনের এক বার্ষিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে কাউন্সিলের রাস্তা মেরামতের বাজেটের ঘাটতি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। সমস্ত স্থানীয় রাস্তাগুলি একসাথে মেরামত করতে সর্বোচ্চ ব্যয় ১৪ বিলিয়ন ডলার ও ১১ বছর সময় লাগবে।
তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা রাস্তাগুলির উন্নয়ন খরচের মাত্র দুই তৃতীয়াংশ অর্থ পেয়েছে চলতি বছরের বাজেটে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।
বৃটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, মোট ক্যারিজওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ বাজেটের ঘাটতি ছিল ১.৩ বিলিয়ন ডলার। গত ২৮ বছরের ইতিহাসে এই ঘাটতি সর্বোচ্চ যা সরকারের অর্থনৈতিক দৈন্যতা প্রকাশ করে।
এআইএ-র এক গবেষণায় দেখা যায় বাজে রাস্তাঘাটের মূল কারণ হল বাজেটের ঘাটতি এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সরকারের তাল মিলিয়ে চলতে না পারা। রাস্তাঘাটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই শুধু অল্প বাজেট বরাদ্দ করছে সরকার তবে নতুন রাস্তা তৈরির কোন বাজেট আসছে না সরকারের তরফ হতে।
এআইএর প্রেসিডেন্ট রিক গ্রিন বলেছেন, পরের আর্থিক বছরে ইংল্যান্ডের স্থানীয় রাস্তায় গর্তগুলি পূরণ করার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হবে বলে গত সপ্তাহে চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই বাজেট মোটেও “যথেষ্ট নয়” বলে তিনি জানান। তিনি হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশংসা করে বলেন বাজেট ঘাটতি সত্ত্বেও তারা নিজেদের দক্ষতায় রাস্তাগুলো সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হয়। তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
নতুন রাস্তাঘাটের জন্য প্রতিটি এলাকা থেকে জনসাধারণের চাপ রয়েছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসন বিতর্কিত হয়ে পড়ছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের আসলে কিছুই করার নেই। বাজেট আসছে শুধু রক্ষণাবেক্ষণের, নতুন রাস্তা তৈরির জন্য বাজেট বরাদ্দ হয় নাই।
পরিবহণের বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, “সরকার ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত স্থানীয় হাইওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে এবং সম্প্রতি এক বছরে কয়েক মিলিয়ন গর্ত ঠিক করার জন্য বাজেটে অতিরিক্ত 200 মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে। এই বাজেটের ফলে যাত্রাপথ হবে মসৃণ এবং নিরাপদ। যা সেতু বা কালভার্ট মেরামত করতেও সাহায্য করবে।”