ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর দেশটিতে একাধিক হামলা ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ‘তীব্র বোমা হামলা’ শুরু করেছে রাশিয়া। কিয়েভের কাছে বরিস্পিল বিমানবন্দরসহ একাধিক বিমানবন্দরে এই হামলা চালানো হয়েছে।
রুশ বিমান হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী লড়াই করছে বলে ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের বন্দর নগরী ওদেসায় রুশ প্যারাট্রুপার নামার খবর অস্বীকার করা হয়।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেন, দেশটির স্থাপনা ও সীমান্তরক্ষীদের ওপর রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত হামলা চালিয়েছে।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা ইউক্রেনের সেনা স্থাপনা, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বিমান বাহিনীর ওপর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আরআইএ দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, তিনি পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন এলাকায় একটি বিশেষ সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন।
এদিকে, রুশ সামরিক আগ্রাসন ও হামলার খবর পেয়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ শহর ছাড়তে শুরু করেছেন সেখানার বাসিন্দারা।
কিয়েভে জরুরি সাইরেন বাজানোর পর শহর ছেড়ে যেতে চাওয়া মানুষের গাড়ির ভিড় দেখা যায় সড়কে। যদিও ইউক্রেন প্রশাসন দেশটির বাসিন্দাদের শান্ত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।
পুতিনের ঘোষণার পর কিয়েভের আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনগুলোতে শহরের মানুষ আশ্রয় নেন। অনেকে বাসে করে শহর ছেড়ে যেতে উদ্যত হন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
নিউজ ডেস্ক