ইউরোপে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাত শুরু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে, ইউরোপীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।
এই কারণে অনেক দেশ নতুন করে লকডাউনে যেতে বাধ্য হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার এই ধরনটি খুবই সংক্রামক বলে লকডাউন দিতে হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ফ্রান্সের ১৬টি এলাকার দুই কোটি ১০ লক্ষ লোকের ওপর শুক্রবার (১৯ মার্চ) মধ্যরাত থেকে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। তবে ফ্রান্সের এই নতুন বিধিনিষেধ আগের লকডাউনের মতো অতোটা কঠোর হবে না বলে জানা গেছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল বলেন, আগামি সোমবার (২২ মার্চ) লকডাউনের সময় আরো বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে সিধান্ত নেওয়া হবে ।
তবে জার্মানির জনসংখ্যার মাত্র ৮.৫ শতাংশ মানুষ তাদের প্রথম ভ্যাকসিন ডোজ পেয়েছেন। যা কিনা যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো থেকে অনেক পিছনে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পাহন সতর্ক করেছেন, ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ না হওয়ায় মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাত সামলানো কঠিন হবে।
পোল্যান্ডে শনিবার (২০ মার্চ) থেকে তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
হাঙ্গেরি তাদের লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে।
বেলজিয়াম ও সুইটজারল্যান্ডে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
২০মার্চ ২০২১
এসএফ