ইউরোপীয় ইউনিয়নে চলতি বছর আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়াবে। জোটের অভিবাসন সংস্থার প্রধান নিনা গ্রেগরি একথা বলেছেন।
গত মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর তিনি জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে গত অক্টোবরে। ওই মাসে ১ লাখ ২৩ হাজার আশ্রয় আবেদন হয়েছে, যা মাসিক হিসাবে গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গ্রেগরি মনে করেন, আগামী কয়েক বছরও এই আবেদনের হার কমবে না। জার্মানির ফুঙ্কে মিডিয়া গ্রুপের সংবাদপত্রগুলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের চারপাশের জগৎ দিন দিন অস্থির হয়ে পড়ছে। ফলে ২০২৪ সাল বা তার পরেও মানুষের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা কমবে না।
২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মোট জনসংখ্যা ৪৫ কোটি। কর্তৃপক্ষের হিসাবে, অক্টোবরের শেষ নাগাদ ইইউতে মোট ৯ লাখ ৩৭ হাজার আবেদন নিবন্ধিত হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।
ইউরোপীয় অভিবাসন সংস্থার মতে, ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য জার্মানি৷ এরপর রয়েছে ফ্রান্স ও ইতালি।
জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী দপ্তরের হিসাবে, নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত জার্মানিতে ৩ লাখ ২৬ হাজারের মতো আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে, যা গত বছর একই মেয়াদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।
ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, চলতি বছর ইইউতে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়াতে পারে। প্রথম ছয় মাসের হিসাব দেখেই এই অনুমান করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
গত সেপ্টেম্বরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত জোটের ২৭ সদস্য দেশ এবং সহযোগী সুইজারল্যান্ড ও নরওয়েতে আশ্রয়ের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল মোট ৫ লাখ ১৯ হাজার।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর শেষে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদনের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১০ লাখের বেশি। ২০১৫-১৬ সালের পর এত সংখ্যক আশ্রয় আবেদন আর কখনো দেখেনি ইইউ। সেই সময় যুদ্ধকবলিত সিরিয়ার বাসিন্দারা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নেমেছিল ইউরোপে।
পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর ইইউতে শীর্ষ আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে ছয় নম্বরে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।
সূত্রঃ এএফপি
এম.কে
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩