ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আগামী রবিবার, ১২ অক্টোবর থেকে নতুন সীমান্ত নিয়ম কার্যকর করতে যাচ্ছে, যা ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীসহ নন-ইইউ নাগরিকদের জন্য বড় পরিবর্তন বয়ে আনবে। নতুন এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম (EES) ধাপে ধাপে শেনজেন এলাকার সব সীমান্ত চেকপয়েন্টে চালু হবে।
এই নিয়ম ইইউ’র সব সদস্যদেশে প্রযোজ্য হবে, তবে আয়ারল্যান্ড ও সাইপ্রাস এর আওতার বাইরে থাকবে। পাশাপাশি ইইউ সদস্য না হলেও শেনজেন চুক্তির অংশ নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডেও এটি কার্যকর হবে।
নতুন ব্যবস্থার আওতায় ইউরোপে প্রবেশকারী প্রতিটি ভ্রমণকারীকে আঙুলের ছাপ এবং মুখের ছবি দিতে হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি যাত্রীর আগমন ও প্রস্থান ডিজিটালভাবে রেকর্ড করা হবে।
ইইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালুর উদ্দেশ্য হলো নিরাপত্তা জোরদার করা, অপরাধ ও অবৈধ অভিবাসন কমানো এবং ভিসামুক্ত ভ্রমণকারীদের অবস্থানকাল আরও কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।
বর্তমানে ব্রিটিশ ও অন্যান্য নন-ইইউ নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ইউরোপে প্রবেশের পর ১৮০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকতে পারেন। নতুন এই ডিজিটাল ট্র্যাকিং ব্যবস্থার ফলে এই সময়সীমা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পর এটি ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে বড় ভ্রমণ-সংক্রান্ত পরিবর্তন। যাত্রার সময় সীমান্তে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কারণে সারি দীর্ঘ হতে পারে এবং শুরুর দিকে ভ্রমণ প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব দেখা দিতে পারে।
ইইউ কমিশন জানিয়েছে, সিস্টেমটি প্রথমে নির্বাচিত সীমান্তে চালু হবে এবং ধীরে ধীরে ইউরোপজুড়ে কার্যকর করা হবে। সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে এটি ইইউ’র ভ্রমণ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্রঃ এএফপি
এম.কে
১১ অক্টোবর ২০২৫z