‘ইস্টএন্ডার্স’ (EastEnders) ধারাবাহিকের কিংবদন্তী অভিনেত্রী অনিতা ডবসন (Anita Dobson) সম্প্রতি পূর্ব লন্ডনে নিজের ছোটবেলার এলাকায় ফিরে গিয়ে সেখানে ঘটে যাওয়া ব্যাপক পরিবর্তনে গভীরভাবে হতাশ ও অবাক হয়েছেন। তিনি মনে করেন, এলাকাটি ‘অচেনা’ (unrecognisable) হয়ে গেছে এবং এর ‘কমিউনিটি বোধ’ (sense of community) হারিয়ে গেছে।

‘অচেনা’ স্টেপনি গ্রিন ও ব্রিক লেন
-
বিস্ময় ও ধাক্কা: ৭৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী, যিনি ইস্ট এন্ডের স্টেপনি গ্রিন-এ বড় হয়েছেন, তিনি ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ (The Telegraph)-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, সাম্প্রতিক সফরে তিনি এই এলাকাকে ‘চমকে ওঠার মতো অচেনা’ বলে মনে করেছেন।
-
পরিবর্তিত ব্রিক লেন: তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন ব্রিক লেন-এর কথা, যেখানে তার বাবা প্রতি শনিবার বই কিনতেন। এখনকার ব্রিক লেন তার স্মৃতিতে থাকা সেই জায়গার মতো নয়; দোকানপাট এবং এমনকি রাস্তার নামও বদলে গেছে।
-
বহুসংস্কৃতির মিশ্রণ: ব্রিক লেন এখন একটি শক্তিশালী বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা এবং এটি যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ ‘কারি রাজধানী’ (Curry Capital) হিসাবে পরিচিত। অনিতা ডবসন বর্তমান ইস্ট এন্ডকে তার অতীতের স্মৃতির সাথে ‘বহু সংস্কৃতিবাদের (cosmopolitan) মিশ্রণ’ বলে অভিহিত করেছেন।

কমিউনিটি হারানোর বেদনা
-
-
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য: অভিনেত্রী স্বীকার করেছেন যে এই পরিবর্তন ‘অনেক দিক থেকে ভালো’ হয়েছে। কারণ এখন সেখানে ‘অনেক বেশি ভিন্ন জাতি, বর্ণ, উচ্চারণ এবং কণ্ঠস্বর’ ও ধর্ম রয়েছে।
-
আক্ষেপ: তবে তার মতে, এই পরিবর্তনের ফলে কিছু জিনিস হারাতে হয়েছে। তিনি বলেন: “আমরা কমিউনিটি হারিয়েছি। আমরা আর কোনো সমাজ নই। আমরা সামাজিক নই। মানুষ এখন আর আগের মতো একে অপরের সাথে কথা বলে না।”
-
নিরাপত্তাহীনতা: ছোটবেলার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তখন তার মা দরজার চিঠিপত্রের ফোকরের মধ্য দিয়ে একটি দড়িতে চাবি ঝুলিয়ে রাখতেন, যাতে তিনি বাড়িতে ফিরে নিজেই ভেতরে ঢুকতে পারেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “এখন আর এমনটা করার কথা ভাবাও যায় না।”

সংক্ষেপে অনিতা ডবসন
-
তিনি ‘ইস্টএন্ডার্স’ ধারাবাহিকে পাব-এর মালকিন অ্যাঞ্জি ওয়াটস (Angie Watts) চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন।
-
তিনি ১৯৮৫ সালে এই সোপ অপেরায় যোগ দেন এবং ১৯৮৮ সালে এটি ছেড়ে দেন।
-
তিনি কিংবদন্তী রক গায়ক ব্রায়ান মে (Queen ব্যান্ডের গিটারিস্ট)-কে বিয়ে করেছেন এবং বর্তমানে তারা সারেতে (Surrey) থাকেন।
সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত অনিতা ডবসনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ডেইলি মেইল (Daily Mail) কর্তৃক প্রকাশিত সংবাদ।
-
-

