বরোদার হরণি এলাকার একটি কলোনি গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে। ওই এলাকায় অবস্থিত ‘মোটনাথ রেসিডেন্সি’তে মুখ্যমন্ত্রী আবাসন প্রকল্পের আওতায় আবাসনের ৬৪২টি ফ্ল্যাটের মধ্যে একটি বরাদ্দ করা হয়েছিল এক মুসলিম নারীকে। এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রতিবাদ করেন ওই আবাসনেরই ৩২ জন বাসিন্দা।
ওই নারীকে বরাদ্দ করা ফ্ল্যাট বাতিলের জন্য একটি আবেদনও জমা পড়েছে। এর একটি প্রতিলিপি বিবিসি গুজরাটির কাছেও আছে।
উল্লেখ্য, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন শহরের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ি ভাড়া পেতে মুসলিমদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এমন অভিযোগও উঠেছে।
বরোদার ঘটনায় গত ৫ জুন মোটনাথ আবাসনের ‘বিক্ষুব্ধ’ বাসিন্দারা নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য যে সরকারি আবাসের প্রকল্প রয়েছে তার আওতায় ওই মুসলিম নারীকে বরাদ্দ করা ফ্ল্যাটটি বাতিল করে তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার আবেদন জানিয়েছেন। ২০১৮ সালে বরাদ্দ করা হয়েছিল ওই ফ্ল্যাট।
আবাসনের সভাপতি ভবনভাই যোশীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি পুরো বসতিই হিন্দুদের হয় তাহলে একজন মুসলিমকে কেন ঘর বরাদ্দ করা হলো, সে বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।’
তার অভিযোগ এই ঘটনার জন্য দায়ী বরোদার পৌরসভা। তবে পৌরসভা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, সমস্ত নিয়ম মেনে ওই নারীকে ফ্ল্যাটটি বরাদ্দ করা হয়েছে। একইসাথে জানানো হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো সরকারি প্রকল্পে বৈষম্য করা যায় না।
ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওই মুসলিম নারীর সাথে যোগাযোগ করা হয় বিবিসি গুজরাটির পক্ষ থেকে।
তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু জানিয়েছেন, ‘গত ছয় বছর ধরে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে এবং নিজের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তিনি বাপের বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।’
এই পুরো ঘটনাতে উদ্বিগ্ন সমাজকর্মীরা। তাদের মতে এই জাতীয় ঘটনা ‘শহরের ভাবমূর্তি নষ্ট’ করে এবং এটি ‘সামাজিক সংহতির চেতনার বিরুদ্ধে’।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৩ জুন ২০২৪