যুক্তরাজ্য হতে কৃষাঙ্গ ও এশিয়ান ব্রিটিশদের দেশত্যাগের হিড়িক পড়েছে বলে এক গবেষণা রিপোর্টে জানা যায়। এর কারণ হিসাবে সরকারী ব্যর্থতা এবং বর্ণবাদকে মূল কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তরুণ ও দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্রিটিশরা যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া অর্থনীতির জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, সাতজনের মধ্যে একজন তরুণ কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়ান ব্রিটিশদের মধ্যে দেশ ছাড়ার লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। যার কারণ হিসাবে তরুণ প্রজন্ম সরকারের ব্যর্থতা, বর্ণবাদ এবং অর্থনৈতিক উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
কার্ব নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষায় দেখা যায়, এশিয়ান ও আফ্রিকান জাতিগোষ্ঠীর ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সের ১৫ শতাংশ লোক দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছে। তাছাড়া আরো ৫১% জানিয়েছেন যে তারা যুক্তরাজ্য ত্যাগের পরিকল্পনা ও চিন্তাভাবনা করছে।
এক জরিপে জানা যায় ৩৯ শতাংশ আফ্রিকান-এশিয়ান যুবা যুক্তরাজ্য ত্যাগের মূল কারণ হিসাবে মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সংকটকে দায়ী করেছে। ২৮ শতাংশ জানিয়েছেন তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্তের উপর অসন্তুষ্ট। তাছাড়া জাতিগত বৈষম্যের কারণে ১৯ শতাংশ দেশত্যাগ করতে চায়। এই জরিপের সমীক্ষা হতে কার্ব জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের জন্য হতে পারে এ এক ভয়াবহ অধ্যায়।
যুক্তরাজ্য পরিসংখ্যান অফিসের তথ্যানুযায়ী জানা যায়, গত দশ বছরে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস জুড়ে জাতিগত ঘৃণ্য অপরাধ প্রায় ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য যে, রুয়ান্ডা বিলের দিকে ইঙ্গিত করে কিছু কৃষাঙ্গ যুবা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যদিও অর্থনীতি এবং জীবনধারণের সংকটকে মূল সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে তবে স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন ব্যবস্থা নিয়েও অনেকের অসন্তোষ ক্ষোভে পরিনত করেছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
০৩ জুলাই ২০২৪