18.9 C
London
May 7, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রচলিত গুজব

সরকার ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যে ১ লাখ মানুষ করোনায় মারা গেছেন। তারপরও কিছু লোক এখনো এই মৃত্যুর সংখ্যা এবং করোনা নিয়ে বিতর্ক করছেন।

ডেভিড অলিভার একজন অভিজ্ঞ এনএইচএস পরামর্শদাতা, যিনি মহামারি জুড়ে কোভিড ওয়ার্ডগুলোর দেখাশোনা করেছেন। তিনি মেডিসিনে বেশ কয়েকটি জাতীয় নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বলেন, আমি ৩২ বছর ধরে এনএইচএসের হাসপাতালের ডাক্তার এবং বহু মাস ধরে কোভিড ওয়ার্ডে কাজ করছি। বহু মৃত্যুর সাক্ষি হয়েছি আমি। তাই করোনা নিয়ে কিছু সাধারণ প্রচলিত গুজব এবং ভুল বোঝাবুঝির বিষয়ে পরিষ্কার করতে চাই।

 

১. করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সাধারণ সময়ের মৃত্যুর সংখ্যার সমান।

ওএনএস জানুয়ারি মাসে জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা এতো আর কখনোই বাড়েনি। এখন অবশ্যই এই অতিরিক্ত মৃত্যু করোনা ভাইরাসের কারনেই হচ্ছে। এই মহামারিটি অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত রোগীদের উপরেও প্রভাব ফেলেছে।

 

২. করোনা পরীক্ষার ফলাফল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল আসে।

এই দাবিটি ভুল, কারণ পিসিআর টেস্টটি যখন কোভিডের লক্ষণসহ লোকদের মধ্যে করা হয় সেখানে খুব কম সংখ্যক ফলাফলই ভুল আসে। প্রায় এক শতাংশেরও কম সময়ে ভুল ফলাফল রিপোর্ট করা হয়েছে।

 

৩. সাধারণ ফ্লুর চেয়ে বেশি খারাপ না করোনা

ওয়েল, ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত, সেপটিক শক, স্ট্রোক, এবং শ্বাসকষ্টে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু করোনা মহামারির সময়ে ডাক্তার যত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন রোগীদের ভিতরে, তা এর আগে কখনোই দেখেননি তারা।

 

৪. কেবল প্রবীণ ব্যক্তিরা অথবা যারা আগের থেকে অসুস্থ তারাই করোনায় মারা যান।

করোনার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই, যে কোনও বয়সের লোকই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এমং মৃত্যুও হতে পারে তাদের। শরীর বেশি অসুস্থ থাকলে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেশি থাকে। এটি সত্য যে আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৮০ বা তার বেশি হলে মৃত্যু ঝুঁকি অনেকাংশেই বেশি থাকে।

 

সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট
৩০ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্য যুদ্ধ করার সক্ষমতা হারাতে যাচ্ছেঃ ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা কমিটি

আগামী সপ্তাহে লন্ডনে প্রবল তুষারপাতের সম্ভাবনা

গাজায় ৫০ গোয়েন্দা অভিযান যুক্তরাজ্যের