কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাম্প্রতিক অগ্রগতি মানবাধিকারের জন্য ‘বড় ঝুঁকি’ বলে সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তার্ক। এর অপব্যবহার রোধে জাতিসংঘ উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেন ‘আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং জবাবদিহিতার জন্য হুমকি’ না হয়, তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ ৬০টির বেশি রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের পক্ষ হতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের প্রধান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি রেখে বলেছেন, বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছ থেকে মুনাফা অর্জন করছে। দ্রুত বর্ধমান এই খাত থেকে ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজন কিন্তু সেইসব ক্ষেত্রে তারা উদাসীন।
জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে বলেছেন, এআইয়ের প্রতিটি অগ্রগতি অনিচ্ছাকৃত পরিণতির জন্য হুমকি বাড়িয়ে যাচ্ছে। এআই হতে উত্থিত কোনো ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনও প্রস্তুত নয় কিংবা এইসব ঝুঁকি মোকাবেলার কোনো কৌশলও কারো জানা নেই। এআই ৪০% পর্যন্ত চাকুরির বাজারকে প্রভাবিত করতে পারবে যা পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করতে পারে।
প্রযুক্তি সংস্থাগুলি বলেছে, তারা এআইকে ফৌজদারি বা অন্যান্য ত্রুটিযুক্ত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা রোধ করার জন্য সিস্টেম স্থাপন করছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে নতুন প্রযুক্তিকে নেগেটিভ ভাবে না দেখে সেটাকে কিভাবে পজেটিভভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে ভাবা উচিত।
ওপেনচিফ এক্সিকিউটিভ, স্যাম অল্টম্যান দাভোস ইভেন্ট চলাকালীন সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বলেন, এআইয়ের ভবিষ্যতের জন্য এনার্জি খাতের দিকেও নজর দেয়া উচিত সকলকে। কারণ এআই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ গ্রাস করবে।
উল্লেখ্য যে, গত বছর গুতেরেস জীবাশ্ম জ্বালানী সংস্থাগুলিকে মানব উন্নয়নের সাথে বেমানান ব্যবসায়িক কৌশল অনুসরণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেছিলেন, “ জলবায়ু এবং এআই – এই দুটি বিষয় ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। যা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের কার্যত কার্যকর বৈশ্বিক কোনো কৌশল নেই।”
সূত্রঃ এএফপি
এম.কে
১৮ জানুয়ারি ২০২৪