ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লিজ ট্রাস। নানা নাটকীয়তা শেষে মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর ফের আলোচনায় আসছে বরিস জনসনের নাম। একই সঙ্গে আলোচনায় আসছে ঋষি সুনাক, যাকে হারিয়েই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন লিজ ট্রাস।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বলছে, ট্রাসের পদত্যাগের সময় দেশের বাইরে থাকলেও দ্রুতই দেশে ফিরেছেন বরিস জনসন। নিয়ম অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদপূর্তির আগে কেউ প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়লে ব্রিটেনে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন হয় না। বরং পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের এমপিদের ভোটে পরবর্তী নেতা নির্বাচিত হন।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দলের নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে। নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসছে, কে হবেন নতুন নেতা? এমন প্রশ্নের জবাবে কয়েকটি নাম এরইমধ্যে সামনে এসেছে। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে নেতৃত্ব বাছাইয়ে ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নাম। এদিকে ঋষি সুনাকের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, সুনাকের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত।
এছাড়া বর্তমান অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মরডান্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসও এগিয়ে রয়েছেন।
এমনকি, বুধবার (১৯ অক্টোবর) পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনেরও আরও একবার নেতা হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
এমপিদের নিয়ে গঠিত ‘১৯২২ ব্যাকবেঞ্চ কমিটি’ ওই নির্বাচন দেবে পরবর্তী ছয় সপ্তাহের মধ্যে। তবে বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ার স্টারমার সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তার মতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের লেজেগোবরে অবস্থার কারণে জনগণকে খেসারত দিতে হচ্ছে।
২১ অক্টোবর ২০২২
সূত্র: বিবিসি, স্কাইনিউজ