সাধারণ মানুষের কাছে ‘ক্রসফায়ার’ নামে পরিচিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এতোটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিলো বাংলাদেশে যে সাধারণ মানুষ যেন জেগে থেকেও বাধ্য হয়েছিলো চোখ বুজে থাকতে। তবে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে এই নিত্যনৈমিত্তিক হত্যাযজ্ঞে এসেছে আশ্চর্যজনক বিরতি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সন্দেহভাজন অপরাধীদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা ‘গুলি বিনিময়’ এর নামে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছাড়াই রোববার বাংলাদেশ ১০০ দিন পার করেছে। যেটি বিরল এক ঘটনা।
স্প্যানিশ বার্তা সংস্থা ইএফই এ খবর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের এলিট সিকিউরিটি ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের সাতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। নিষেধাজ্ঞার পর ঘন ঘন ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় অপ্রত্যাশিতভাবে বিরতি আসে।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের এমন বিরতি এটাই প্রমাণ করে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো উক্ত ঘটনাগুলো মঞ্চস্থ করেছিল এবং সেগুলো সম্পর্কে মিথ্যা বর্ণনা দিয়েছিল।
২০২০ সালে কক্সবাজার জেলায় সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজরকে হত্যার পর একই ধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছিল। কথিত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এনএইচ