6 C
London
January 13, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

গণভবনে মিলল টিউলিপের প্রচারপত্র, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধের নোট

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে হামলা ও লুটপাট চালায়।

সেই বাসভবনে ধুলা আর ধ্বংসাবশেষের মধ্যেই পাওয়া গেল যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের লিফলেট বা প্রচারপত্র।

টিউলিপ ব্রিটেনের লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য।

তিনি দেশটির ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামলানো।

তিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। টিউলিপের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের দুর্নীতি থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার দ্য টাইমস হাসিনার বাসভবন গণভবনে প্রবেশের অনুমোদন পায়। সেখানে গিয়ে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে টিউলিপের প্রচারপত্রও দেখতে পায়। গণভবনে বহু কক্ষ রয়েছে। ১৮ একর বাগানও রয়েছে।

রয়েছে একটি লেকও। সেই লেকেই হাসিনা মাছ ধরতেন। কাছাকাছিই জাতীয় সংসদ ভবন।

হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে লুটপাট চালায়। তারা বিভিন্ন ফার্নিচার, অর্থ, ফ্রিজ, শাড়ি, গয়না, দামি মাছ-মাংস নিয়ে যায়।

এরপরও অনেক জিনিস ধুলা-ধ্বংসাবশেষর মধ্যেই সেখানে পড়ে রয়েছে। কিছু জিনিস ফেরত এসেছে এবং সেগুলো একটি আলাদা ঘরে রাখা আছে।

গণভবনে একটি নোট পাওয়া গেছে, যাতে বিশিষ্ট এক ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের আইনি পরামর্শ ছিল। হাসিনার শাসনব্যবস্থা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকাশনা বন্ধের বিষয়েই ওই ব্রিটিশ ব্যারিস্টার আইনি পরামর্শ দেন। পাশেই পড়ে ছিল বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন ফরম।

গণভবনে একটি সিঁড়ির ওপরের অংশে টিউলিপ সম্পর্কিত কিছু জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ছিল ধন্যবাদপত্র। হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি স্থানীয় লেবার পার্টি সদস্যদের উদ্দেশে ওই ধন্যবাদপত্র পাঠিয়েছিলেন।

আরেকটি ছিল টিউলিপের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন, যেখানে তিনি জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের শিকার মানুষের সাহায্যের বিষয়টি তুলে ধরেন।

টিউলিপ এর আগে বারবার তার খালার শাসন থেকে নিজেকে আলাদা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। ২০১৭ সালে তিনি বলেছিলেন, তারা কখনওই রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেননি।

হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে এক ব্যারিস্টার গুম হওয়ার বিষয়ে ওই বছর টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। এতে ক্ষেপে গিয়ে তিনি ওই অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি দেন এবং পুলিশে অভিযোগও করেন।

সম্প্রতি ফ্ল্যাট বিতর্কেও নাম এসেছে টিউলিপের। যুক্তরাজ্যে একাধিক ফ্ল্যাট তিনি বা তার পরিবার হাসিনার রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে পাওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে। বাংলাদেশেও টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। এমন পরিস্থিতিতে তার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।

সূত্রঃ সানডে টাইমস

এম.কে
১৩ জানুয়ারি ২০২৫

আরো পড়ুন

শ্যালিকা মঞ্চে পলকের চাচা শ্বশুরকে শোকজ করল বিএনপি

সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার