বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের সীমানায় ঢুকে পড়েছে মার্কিন এক যুদ্ধজাহাজ। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন সরকার। গত সোমবার এক বিবৃতিতে চীনা সামরিক বাহিনী জানায়, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে এই সীমানায় ঢুকেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়।
বহু বছর ধরে দক্ষিণ চীন সাগরের সীমানা নিয়ে বিভিন্ন দেশ বিরোধে লিপ্ত ছিল। দক্ষিণ চীন সাগর একটি প্রধান সমুদ্র পথ। জাতিসংঘের বাণিজ্য এবং উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আংকটাডের অনুমান, বিশ্বের মোট বাণিজ্যের প্রায় ২১ শতাংশ ২০১৬ সালে এই সমুদ্র পথে পরিবহন করা হয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৩.৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া এখানে মৎস্য সম্পদও আছে প্রচুর। পুরো অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ এই সাগরে মাছ ধরে জীবন চালায়। বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মাছ ধরা জাহাজ ও নৌকা চলে এখানে।
দক্ষিণ চীন সাগরের সবচেয়ে বড় অংশটি দাবি করে চীন। তথাকথিত নাইন-ড্যাশ লাইনের মাধ্যমে চীন তাদের এই সীমানা চিহ্নিত করে রেখেছে। মোট নয়টি ড্যাশ চিহ্ন দিয়ে এই নাইন-ড্যাশ লাইনটি তৈরি।
ভিয়েতনাম চীনের এসব দাবির সঙ্গে তীব্র দ্বিমত পোষণ করে। তারা বলে, ১৯৪০ এর দশকের আগে চীন কখনোই এসব দ্বীপের ওপর সার্বভৌমত্বের দাবি জানায়নি। ভিয়েতনাম দাবি করে, প্যারাসেল এবং স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ তারাই শাসন করেছে ১৭শ শতক থেকে, এবং তাদের কাছে এর দালিলিক প্রমাণ আছে।
ফিলিপাইন্সও এই অঞ্চলের ওপর দাবি জানায়। এক্ষেত্রে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ ভৌগোলিকভাবে তাদের দেশের কতটা কাছাকাছি সেটি তারা উল্লেখ করে।
প্রায়ই সমুদ্রের এই অঞ্চল ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়। গত সোমবার চীনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে , যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছা করে এই অঞ্চলে এসেছে এবং তারা চীনের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে চায়।
এম.কে
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩