10.1 C
London
November 5, 2024
TV3 BANGLA
শীর্ষ খবরসারাদেশ

ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের ভিডিও ভাইরাল, মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

হাটহাজারীর মারকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদ্রাসায় মো. ইয়াসিন ফরহাদ (৭) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা করেছে তার পরিবার।

 

ওই মামলায় অভিযুক্ত মারকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়েছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।

 

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, ছেলের জন্মদিনে তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এক মা। ছেলেটি থাকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার এক মাদ্রাসায়। আধ ঘণ্টার মত ছেলের সঙ্গে সময় কাটিয়ে মা যখন ফিরছেন, আট বছরের শিশুটি তখন মায়ের পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করে। কিন্তু মাদ্রাসার এক শিক্ষক শিশুটির ঘাড় ধরে ফিরিয়ে আনেন তাকে, ঠেলতে ঠেলতে ঢোকান এক কক্ষে, তারপর তাকে নৃশংসভাবে পেটাতে শুরু করেন।

 

হাটহাজারী মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমিতে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটে যাওয়া এই শিশু নির্যাতনের ঘটনাটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।

 

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে হাটহাজারী থানায় এই মামলা দায়ের করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ।

 

এদিকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার কামাল পাড়া পশু হাসপাতালের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তৌহিদ।

 

জানা যায়, গ্রেফতার হাফেজ ইয়াহিয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাফরভাটা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।

 

জানা গেছে, মারকাজুল কোরআন ইসলামি অ্যাকাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ৭ বছর বয়সী শিশু ইয়াসিনকে মঙ্গলবার বিকেলে দেখতে যান মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল।

 

কিন্তু ফেরার সময় ছোট্ট শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে। একপর্যায়ে শিশুটি মা-বাবার পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে আসলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া।

 

মূল ফটকের বাইরে যাওয়ায় শিশুটিকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন তিনি। এ সময় শিশুটির বাঁচার আকুতিও শুনেননি ওই শিক্ষক। মঙ্গলবার রাত থেকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

 

রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুকে উদ্ধার করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে শিশুটির বাবা-মায়ের লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে তখন ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

১০ মার্চ ২০২১
সূত্র: নিউজডেস্ক

 

আরো পড়ুন

সীমান্তে অভিবাসী সংকটের মূলহোতা পুতিন: পোল্যান্ড

সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আর নেই

অনলাইন ডেস্ক

সিলেটে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাতবার ভূমিকম্প