পাবনার ঈশ্বরদীতে ভেজাল মধু সরবরাহের অভিযোগে দুই ভাইকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সংগে বেঁধে মারধর এবং মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে। গত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাঁদপুর গ্রামের ২৪ বছর বয়সি আল আমিন ও তার ছোট ভাই ১৮ বছর বয়সি আলাল সরদার মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। স্থানীয়ভাবে খাঁটি মধু সরবরাহের জন্য তাদের সুনাম আছে।
সম্প্রতি তারা ভিলেজ ফ্রেশ ফুড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মধু সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তি অনুযায়ী কয়েকবার মধুও সরবরাহ করেন। শুক্রবার সকালে মধু দিতে গেলে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ভেজাল মধু সরবরাহের অভিযোগে দুই ভাইকে ধরে ধানের চাতালের মধ্যে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সংগে বেঁধে রেখে দেন। পরে প্রতিষ্ঠানটির জিসান হোসেন এসে তাদের মারধর করেন এবং মাথার চুল কেটে দেন।
বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামের লোকজন এসে দুই ভাইকে সেখান থেকে মুক্ত করেন। ভুক্তভোগী দুই যুবকের বাবা আলম সরদারের দাবি, তার ছেলেরা ভেজাল মধু সরবরাহ করেননি। মধুর টাকা মেরে দিতেই প্রতিষ্ঠানটি ভেজাল মধুর নাটক সাজিয়েছে। তার দুই ছেলের ওপর অমানবিক অত্যাচারের বিচার চান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে জিসান হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চুক্তি ছিলো তারা খাঁটি মধু সরবরাহ করবেন। কিন্তু চুক্তির শর্ত ভেঙে সম্প্রতি দুই ভাই ৩০০ কেজি ভেজাল মধু সরবরাহ করেছেন। গ্রাহকেরা এই মধু নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে ১২০ কেজি মধু এখনো অবিক্রীত রয়েছে।
পরে এলাকার লোকজনই তাদের আটকে রেখে মধুর ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলে দুই ভাই চলে গেছেন। কাউকে মারধর করা হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলা দায়ের হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১ মে ২০২১
এসএফ