মেট্রোরেলের পর রাজধানী ঢাকায় প্রথম পাতাল রেললাইন নির্মাণেও ঋণ দেবে জাপান। মেট্রোরেল লাইন-৫ প্রকল্পের আওতায় ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল ও ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাপানের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে হয়েছে একটি অনুদান চুক্তিও।
মঙ্গলবার জাপান ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে ভার্চুয়ালি এ চুক্তি দুটি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় জাপান সরকার প্রায় ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ এবং অন্য একটি প্রকল্পের জন্য প্রায় ৯ কোটি ২৮ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করবে। এর সঙ্গে একটি বিনিময় নোটও স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে ইআরডি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। ওডিএ লোন প্যাকেজের আওতায় এই ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে জাপান।
এতে বলা হয়, বিনিময় নোট চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকি স্বাক্ষর করেন। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া ঋণ ও অনুদান চুক্তিতে নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
সূত্র জানায়, নতুন এই মেট্রোরেলের অ্যালাইনমেন্ট হলো: হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর-মধুমতি-আমিনবাজার-গাবতলী-দারুসসালাম-মিরপুর-১-মিরপুর-১০-মিরপুর-১৪-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান-২-নতুন বাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত। প্রকল্পটির আওতায় ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাতাল মেট্রোরেল এবং ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার উড়াল মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা।