TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

তাপপ্রবাহে কাঁপছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস, বজ্রঝড়ের আশঙ্কা

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসজুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাপপ্রবাহ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া বিভাগ মেট অফিস। শুক্রবার দু’ই অঞ্চলেই সর্বোচ্চ ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তবে আগামী শনিবার ও রবিবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে ৩৪ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মেট অফিস। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ার আশঙ্কা থাকলেও, পশ্চিমাঞ্চলে কিছুটা ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করতে পারে।

তাপপ্রবাহের মধ্যে শনিবার বিকেল থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত উত্তর ইংল্যান্ডে বজ্রঝড়, শিলাবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নটিংহাম থেকে শুরু করে নিউক্যাসল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় হলুদ সতর্কতা বলবৎ থাকবে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, এই বজ্রঝড়ের কারণে আকস্মিক বন্যা, রাস্তা ও ড্রেনেজে পানি জমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কিছু এলাকায় ঘন বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে।

বৃহস্পতিবার কিউ, পশ্চিম লন্ডনে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর পরপরই যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (UKHSA) ইংল্যান্ডের সব অঞ্চলে অ্যাম্বার রঙের তাপ-সতর্কতা জারি করে, যা সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এই সতর্কতায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে স্বাস্থ্য খাতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি ও যাদের আগেই শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের ঝুঁকি বেশি।

জনগণকে তাপদাহ সংক্রান্ত ঝুঁকি এড়াতে সতর্ক করেছে রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব অ্যাকসিডেন্টস (RoSPA)। সংস্থাটি বলছে, গরম আবহাওয়া মানুষকে নদী বা হ্রদে সাঁতার কাটার প্রতি উৎসাহিত করলেও, পানির তাপমাত্রা অনেক সময় বিপজ্জনকভাবে ঠাণ্ডা থাকে, যা হঠাৎ শকের সৃষ্টি করতে পারে।

RoSPA-র নীতিনির্ধারক স্টিভ কোল বলেন, “তাপমাত্রা এখন শুধুমাত্র ছুটির দিনের আনন্দ নয়—এটি একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সংকট। গরমে অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে এবং আমরা সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানাই।”

সূত্রঃ দ্য স্ট্যান্ডার্ড

এম.কে
২১ জুন ২০২৫

আরো পড়ুন

ভারতের সাথে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য চুক্তির বিরুদ্ধে সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান

অনলাইন ডেস্ক

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন নিয়মে ভেঙ্গে পড়তে পারে অর্থনীতিঃ গবেষণা

যুক্তরাজ্যে নতুন ভিসা নিয়মে দেশ হতে বহিষ্কারের ঝুঁকিতে ৬০-এর বেশি TfL কর্মী