যুক্তরাজ্যের নর্থহ্যাম্পটনশায়ার পুলিশ আশ্রয়প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি ব্যতিক্রমধর্মী সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালু করেছে। এতে বলা হয়েছে, নারীদের হয়রানি বা অপমান করলে গ্রেপ্তার করা হবে। সম্প্রতি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তরুণ পুরুষ আশ্রয়প্রার্থীদের ঘোরাফেরা এবং ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠলে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পুলিশ একটি স্লাইড শোয়ের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সামাজিক মূল্যবোধ ও আচরণবিধি তুলে ধরেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নারীরা সমাজে পুরুষদের সমান অধিকারভোগী এবং তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেখানো উচিত। এতে আরও জানানো হয়, কিছু গালি বা আপত্তিকর শব্দ যুক্তরাজ্যে অত্যন্ত অপমানজনক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং কাউকে অনুমতি ছাড়া ভিডিও বা ছবি তোলা গুরুতর অপরাধ হতে পারে।
ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের সীমান্ত ও অভিবাসনবিষয়ক প্রধান পরিদর্শক ডেভিড বোল্ট জানিয়েছেন, ২০২৯ সালের মধ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেল ব্যবহার বন্ধ করার সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন হওয়া কঠিন হবে। কারণ, বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে।
হোম অফিসের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছিল মাত্র ২৯৯ জন অভিবাসী। অথচ ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮,০০০—যা রেকর্ড পরিমাণ এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় তীব্র চাপ সৃষ্টি করছে।
ডেভিড বোল্ট আরও বলেন, আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা বেড়েছে এবং তার ফলে আপিলের সংখ্যাও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশ্রয় ব্যবস্থায় ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যারা ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করে না, এমন দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ করা হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, এর জন্য প্রয়োজন শক্ত অবস্থান ও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ।”
সরকার ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মতে, শুধু সীমান্ত নিরাপত্তা নয়, বরং অভ্যন্তরীণ সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা করতেও এখন জরুরি সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে।
সূত্রঃ এক্সপ্রেস
এম.কে
২৫ জুন ২০২৫