বারবার নিয়মনীতি পরিবর্তন, আইনের কড়া প্রয়োগ, আর জরিমানা মূল্য বাড়িয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না যুক্তরাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গত তিন দিন ধরে দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এখনই কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করলেও ক্রিসমাসের পর দুই সপ্তাহের লকডাউনের কথা ভাবছে সরকার।
‘সার্কিট ব্রেকার লকডাউন’ নামে সম্ভাব্য প্রস্তাবিত এই গৃহবন্দীকরণ পরিকল্পনা অতীতের সবগুলো লকডাউনের চেয়ে কড়া হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। নতুন এই পরিকল্পনায় ঘরের ভেতর বা ইনডোরে জমায়েত করার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আসতে পারে।
দুই সপ্তাহের সার্কিট লকডাউনের পরিকল্পনার মধ্যে আছে, বন্ধ জায়গায় দেখা করা যাবে না। পাব ও রেস্টুরেন্টে শুধু মাত্র বাইরের সার্ভিস গুলো চালু থাকবে। তার মানে পাব বা রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসে খাওয়া যাবে না। এছাড়া চলাচলের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ থাকবে।
ফাইন্সিয়াল টাইমসের করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিস জনসন প্লান বি, প্লান সি নামের ধাপে ধাপে যে পদক্ষেপের কথা বলেছিলো তা অল্প সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউনের কোন বিকল্প নেই।
অন্যদিকে সরকারী কর্মকর্তারা বলছেন, বরিস জনসন এখনও তার পূর্বের পরিকল্পনা মতো চলতে চায়, কিন্তু সরকারী কর্মকর্তারা লকডাউনের বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করছে। যা এরই মধ্যে বরিস জনসনকে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি এই সংস্থাটির দেওয়া পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, আগামী বসন্ত পর্যন্ত লকডাউনের বিভিন্ন বিধি নিষেধ রাখা প্রয়োজন। এছাড়া ঘরের মধ্যে জড়ো হওয়া বা পার্টি করার ব্যাপারে বিধি নিষেধ দেওয়ার জন্য বলছে তারা।
সরকারের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছে, ব্রিটেন জুড়ে এমন ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি আগে হয়নি। হাসপাতাল গুলোর আইসিইউতে রোগী পূর্ন হয়ে গিয়েছে। শুধু মাত্র লন্ডনেই চলতি সপ্তাহে তার আগের সপ্তাহের তুলনায় আক্রান্ত বেড়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহ নাগাদ হাসপাতাল গুলোতে বাড়তি চাপের সৃষ্টি হতে পারে।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
এনএইচ