প্রপার্টি কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়াকে বলা হয় মর্গেজ। প্রপার্টির মর্গেজ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে ল্যান্ডর কর্তৃক প্রপার্টির দখল নেয়াকে Property Repossession বলা হয়।
মর্গেজ নিয়ে বাড়ি কেনার পর প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্ট মাসিক মর্গেজ পেমেন্ট হিসেবে আপনাকে ল্যান্ডরকে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এই মাসিক মর্গেজ পেমেন্ট ঠিকমত পরিশোধ না করলে ল্যান্ডর আপনাকে ওয়ার্নিং নোটিশ পাঠাবে এবং নিয়মিত কিভাবে আপনি মাসিক মর্গেজ পেমেন্ট করতে পারবেন তার বিভিন্ন উপায় বলে দিবে। এরপরও যদি আপনি নিয়মিত মর্গেজ পেমেন্ট না করেন তবে ল্যান্ডর আপনাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবে, আপনার প্রপার্টি বিষয়ে কোর্টে হেয়ারিং হবে এবং পরিশেষে ল্যান্ডর আপনার প্রপার্টি রিপোজেসান করবে।
কি কি কারণে প্রপার্টি রিপোজেসান হতে পারেঃ
- আর্থিক, অসুস্থতা অথবা পারিবারিক কারণে আপনার মর্গেজকৃত প্রপার্টির মর্গেজ পেমেন্ট বকেয়া হয়ে যেতে পারে।
- মর্গেজ রি-পেমেন্ট ঠিকমত পরিশোধ না করলে মর্গেজ ল্যান্ডর প্রপার্টি রিপোজেসান প্রক্রিয়া শুরু করে।
- মর্গেজ আইন অনুযায়ী ৯০ থেকে ১৮০ দিন মর্গেজ রি-পেমেন্ট বকেয়া থাকলে মর্গেজ ল্যান্ডর প্রপার্টি রিপোজেসান করার লিগ্যাল রাইট রয়েছে।
- Property Repossession করার পূর্বে ল্যান্ডর কোর্ট এর নিকট হতে অনুমতি নিবে।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর আগে যেসব বিসয় নিয়ে ল্যান্ডর আপনার সাথে আলোচনা করবেঃ
- আপনার কি পরিমাণ মর্গেজ আউটস্টেন্ডিং আছে
- আপনার পক্ষ থেকে মর্গেজ পরিশোধ করার জন্য কোন প্রস্তাবনা থাকলে তা বিবেচনা করবে।
- ১০ দিনের মধ্যে কারণসহ আপনার প্রস্তাবনা কেন বাতিল করা হয়েছে তা জানাবে।
- ল্যান্ডর আপনাকে মর্গেজ পরিশোধ করার জন্য প্রস্তাবনা দিবে এবং তা বিবেচনা করার জন্য সময় দিবে।
- কোর্ট অ্যাকশনে যাবার ১৫ দিন আগে তারা আপনাকে লিখিত ওয়ার্নিং লেটার পাঠাবে।
- কোর্টে হেয়ারিং এর তারিখ ও সময় জানাবে।
- কোর্টে হেয়ারিং এর ৫ দিন আগে আপনার কাউন্সিল এর নিকট নোটিশ পাঠাবে।
কোর্ট অ্যাকশন এর পরেও আপনি ল্যান্ডর এর সাথে মর্গেজ পরিশোধ করার জন্য সমঝোতা এবং চুক্তি করতে পারেন। কোর্টে হেয়ারিং এর দিন জজ নিকট আপনাদের চুক্তিপত্র দেখাতে হবে।
ডিফেন্স ফর্ম
ল্যান্ডর কর্তৃক কোর্ট অ্যাকশনে প্রক্রিয়া শুরু করার পর, কোর্ট আপনাকে ডিফেন্স ফর্ম পাঠাবে এবং এই ফর্মে কেন ল্যান্ডর আপনার প্রপার্টি রিপোজেসান করতে পারব না, তার বিস্তারিত লিখতে হবে। ফর্মে পাওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে আপনাকে ফর্মটি পূরণ করে সাপোর্টিং ডকুমেন্ট সহ কোর্টে রিটার্ন করতে হবে।
আপনার ইনকাম কম হলে এবং লিগ্যাল কস্ট বহন করা কষ্টকর হয়ে গেলে। আপনি সরকার কর্তৃক লিগ্যাল এইড নিতে পারেন।
কোর্ট হেয়ারিং
কোর্ট হেয়ারিং এর দিন প্রুফ অফ ফাইনান্স হিসেবে আপনাকে নিন্মক্ত ডকুমেন্ট দেখাতে হবে আপনার পে স্লিপ অথবা ট্যাক্স ডকুমেন্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, জব অফার, বেনেফিট লেটার, এস্টেট এজেন্ট লেটার ( যদি আপনি প্রপার্টি বিক্রয় করে মর্গেজ পে-অফ করতে চান) ইত্যাদি ।
হেয়ারিং এর আগে ল্যান্ডর এর সাথে মর্গেজ পরিশোধ করার জন্য চুক্তি হলে, চুক্তিপত্রটি হেয়ারিং এর দিন কোর্টে আপনাকে উপস্থাপন করতে হবে।
কোর্ট হেয়ারিং এর দিন আপনি কোর্টে উপস্থিত না হলে, জজ ল্যান্ডর এর পক্ষে রায় দিবে। আপনার প্রপার্টি রিপোজেসান করতে ল্যান্ডর এর কোন বাধা থাকবে না।
রিপোজেসান অর্ডার
কোর্ট অনুমতি দিলে মর্গেজ ল্যান্ডর প্রপার্টি রিপোজেসান করতে পারবে।
জজ রায় দিতে পারে –
- আরও ডকুমেন্ট এবং তথ্যের জন্য আপনার হেয়ারিং পিছিয়ে দেয়া।
- খারিজ করা (কোন অর্ডার দেয়া হয়নি এবং হেয়ারিং সমাপ্ত করা হল )
- রিপোজেসান অর্ডার দেয়া
এছাড়াও জজ আপনাকে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে আপনি নিয়মিত মাসিক মর্গেজ পেমেন্ট ঠিকমত পরিশোধ করবেন এই মর্মে Suspended possession order / money order/ time order / Possession order with money judgment অর্ডার দিতে পারে। এর পরেও আপনি মর্গেজ পেমেন্ট ঠিকমত পরিশোধ না করলে ল্যান্ডর কোর্টে গিয়ে প্রপার্টি রিপোজেসান এবং আপনাকে প্রপার্টি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য অনুমতি চাইবে।
জজের রায়ে বিপক্ষে আপিল করাঃ
আপনি অর্ডার এর বিপক্ষে আপিল করতে পারবেন। আপিল করার পর, জজ রায় দিতে পারে—
- অরিজিনাল অর্ডার বজায় রাখা
- পূর্বের অর্ডার বাতিল করা অথবা পরিবর্তন করা
- নতুন হেয়ারিং এর অর্ডার দেয়া ।
প্রপার্টি রিপোজেসান এর প্রভাব
- প্রপার্টি রিপোজেসান হলে, পরবর্তীতে নতুন প্রপার্টি ক্রয় করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
- আপনার ক্রেডিট প্রোফাইলে প্রপার্টি রিপোজেসান এর রেকর্ড থাকবে।
- ব্যাংক আপনাকে হাই রিস্ক ক্লাইন্ট মনে করবে এবং আপনাকে হাই ইন্টারেস্ট রেটে লোন নিতে হবে।
প্রপার্টি রিপোজেসান এবং মর্গেজ সংক্রান্ত যে কোন ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের ইমেইল অথবা টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে।
EMAIL: info@benecofinance.co.uk
PHONE: +4402080502478