10.4 C
London
April 25, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিকযুক্তরাজ্য (UK)

প্রশ্নবাণে জর্জরিত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিব

অলিম্পিক তারকা স্যার মো ফারাহ যখন ইংল্যান্ডে এসেছিলেন তখন নাবালক ছিলেন। যুক্তরাজ্যে প্রথম জীবনে তিনি একজন গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে প্রকাশ করেছেন।

অলিম্পিক তারকা জানান, যারা জিবুতি থেকে তাকে নিয়ে এসেছিল তারা তার নাম দেয় মোহাম্মদ ফারাহ। তার আসল নাম হুসেন আবদী কাহিন।

অলিম্পিক তারকা রানার শরণার্থী হিসাবে সোমালিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। তিনি বৃটিশ গণমাধ্যমেকে জানান তার বাবা -মা কখনও যুক্তরাজ্যে ছিলেন না – তার মা এবং দুই ভাই সোমালিল্যান্ডের ব্রেকওয়ে রাজ্যে তাদের পারিবারিক খামারে থাকেন। তিনি শিশুবয়সে সোমালিয়ায় এক বন্দুকযুদ্ধে তার বাবাকে হারান।

যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে স্যার মো ফারাহ সম্পর্কে প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন অবৈধভাবে আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে নতুন যে আইন করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য সে অনুযায়ী অলিম্পিক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত স্যার মো ফারাহকে কি বৃটেন থেকে নির্বাসিত করা হবে। স্বরাষ্ট্রসচিব এই প্রশ্নে ইতস্ততবোধ করেন। তিনি সঠিক উত্তর দিতে নিজের সাথে লড়াই করেছিলেন।

ব্র্যাভারম্যান বলেন, যে ‘পাচার বা আধুনিক দাসত্বের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে সুরক্ষা দাবি করতে পারেন’। সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করেন ফারাহকে কি যুক্তরাজ্য হতে বের করে দেয়া হবে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়, স্বরাষ্ট্রসচিব বলেছিলেন: ‘না, আমি তা মনে করি না। আমি মনে করি আমাদের পাচার বা আধুনিক দাসত্বের সত্যিকারের শিকার ব্যক্তিদের জন্য সহমর্মিতা রয়েছে। আমরা দেশ হিসেবে সবসময় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। ‘

গত বছর একটি ডকুমেন্টারিটিতে ফারাহ স্বীকার করেছিলেন যুক্তরাজ্যে তিনি শিশু বয়সে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি এও যুক্ত করেন, নতুন আইন অনুসারে তিনি যুক্তরাজ্য হতে নির্বাসিত হতে পারেন।

আরো পড়ুন

ব্রিটিশ অভিবাসন আইনে দফায় দফায় পরিবর্তন, লক্ষ্য বিদেশি শিক্ষার্থী

যে কারণে দায়িত্ব থেকে সরানো হলো চ্যাটজিপিটি নির্মাতাকে

ভারতে এই প্রথম  ‘বিদেশিদের’ জন্যে চালু হলো স্থায়ী বন্দিশিবির

নিউজ ডেস্ক