নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে অভিবাসীদের আগমন থামানো সম্ভব না হলে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে প্রীতি প্যাটেলের পরিবর্তনে বর্তমান কেবিনেট অফিস মিনিস্টার মাইকেল গভকে দেখা যেতে পারে। নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় ডেইলি মেইল অনলাইন।
এতে বলা হয়, ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী অভিবাসীদের ঠেকাতে ব্যর্থ হোম অফিসের উপর প্রধানমন্ত্রীর হতাশা বেড়েই চলেছে। আর এই ব্যর্থতার জন্য প্রীতি প্যাটেলকেই দায়ি মনে করেন অনেকে।
সুতরাং, বরিস জনসন ও মাইকেল গভ- যাদেরকে গত এক দশকের বেশীরভাগ সময় ধরে একটি ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ‘সাইকোড্রামায়’ ব্যস্ত থাকে দেখা গেছে, তাদেরকে আবার ঘনিষ্ঠ মিত্রের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।
ব্রিটেনের চলমান ‘অভিবাসন সংকট’ নিয়ে হতাশা বরিস জনসন ছাড়াও সরকার দলীয় অনেক সদস্যের মধ্যেও দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে মিডল্যান্ড ও নর্থের সদস্যরা বলছেন, বিপদ যেন দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে।
হোম অফিসের দায়িত্ব পেলে সংকট সমাধানের সুযোগ পাবেন গভ, যাকে এই কাজের যোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে সরকারের এমন পদক্ষেপ ক্ষিপ্ত করবে প্রীতি প্যাটেলকে। বলা হচ্ছে, তাকে সরিয়ে পার্টি চেয়ারম্যানের পদে বসানো হতে পারে। প্রীতি প্যাটেল ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়বেন।
একটি সূত্র দাবি করছে, মাইকেল গভ এবং বরিস জনসনের মধ্যে আবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে ডাউনিং স্ট্রিটের মুখমাত্র এ নিয়ে মন্তব্য জানাতে রাজি হননি।
৮ আগস্ট ২০২১
এনএইচ