স্যামসাংয়ের উত্তরাধিকারী লি জায়ে ইয়ংকে দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি উচ্চ আদালত। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পার্ক জিউন-হাইয়ের সঙ্গে একটি ঘুষ কেলেংকারির মামলায় তাকে এ সাজা শোনানো হয়। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নিজেও একই মামলায় দুর্নীতির দায়ে সাজা ভোগ করছেন।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা যায়।
২০১৪ সাল থেকে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ডি ফ্যাক্টো প্রধান ছিলেন লি। বলা হচ্ছে, এই রায়ের ফলে ভবিষ্যতে টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটিতে তার ভূমিকা ফিরে পেতে বিড়ম্বনা পোহাতে হতে পারে। রায়ের ঘোষণার খবর প্রচারের পর থেকে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের শেয়ার মূল্য ৪ শতাংশেরও বেশি নেমে গেছে বলে দাবি করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিষ্ঠানটিকে ভবিষ্যতে বড় আকারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং নেতৃত্বশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে এই রায়।
সিজং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেজ প্রফেসর কিম ডেজং এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বিষয়টি স্যামসাংয়ের জন্য একটি বড় ধাক্কা। চরম সংকটময় পরিস্থিতি দিয়ে যাচ্ছে তারা।
২০১৪ সালে চেয়ারম্যান লি কুনহি হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী হওয়ার পর থেকে তার ছেলে লি জায়ে ইয়ংকেই প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের ভূমিকায় দেখা হয়ে আসছিল। ২০২০ সালে প্রবীণ লি মারা যাওয়ার পর তার উত্তরাধিকারীদের বিষয়ে নানা গুজব শুরু হয়।
আদালতের রায় অনুসারে, লি স্বক্রিয়ভাবে ঘুষ প্রদান করেছিলেন এবং স্যামসাংয়ে নিজের উত্তরাধিকারের পথ মসৃণ করতে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ব্যবহার করতে বলেছিলেন। লি ইতোমধ্যেই ১৮ মাস ডিটেনশনে কাটিয়েছেন যা তার প্রাপ্ত সাজা থেকে বাদ যাবে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন প্রেসিডেন্টের একটি কর্পোরেট কেলেংকারির তদন্তে লি’কে প্রথমবার আটক করে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।
১৮ জানুয়ারি ২০২১
এনএইচ