উত্তর ফ্রান্সের কালে শহরের একটি সড়কে ট্রাকের চাপায় এক অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আফ্রিকার দেশ সুদানের নাগরিক। বুধবার অনিয়মিত উপায়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ট্রাকটিতে উঠার চেষ্টা করতে গিয়ে পড়ে নিহত হন ভুক্তভোগী ব্যক্তি।
উত্তর ফ্রান্সের কালে ও অন্যান্য শহরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের দুর্ঘটনা যেন পিছু ছাড়ে না।
ফ্রান্সের স্থানীয় দৈনিক জানিয়েছে, ৩১ মে সকাল ৬ টার দিকে একটি মালবাহী ট্রাকে চড়ার চেষ্টা করছিলেন ২৫ বছর বয়সি এক সুদানের নাগরিক। কিন্তু গাড়িটিতে উঠতে গিয়ে সড়কে পড়ে যান তিনি।
ওই সময় চালক গাড়ি না থামিয়ে পথ চলতে থাকলে ট্রাকের নিচে পিষ্ট হন তিনি। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এবং ট্রাকটি সনাক্ত করার লক্ষ্যে একটি বিচারিক তদন্ত খোলা হয়েছে। এই ঘটনা চালকের অজান্তে দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃত দায়িত্ব অবহেলা সেটি আপাতত নিশ্চিত হতে পারেনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ফ্রান্সে অপেক্ষারত অনেক অভিবাসী যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর জন্য নিয়মিতভাবে গাড়িতে লুকানোর চেষ্টা করে থাকেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সফল হলেও বেড়েছে চলন্ত গাড়িতে উঠতে গিয়ে অভিবাসীদের অকাল মৃত্যুর হার।
এই দুর্ঘটনাস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরে একই অবস্থায় আরেক অভিবাসীর মৃত্যুর তিন সপ্তাহ পর গতকালের ঘটনা সংগঠিত হলো। গত ১০ মে কালে বন্দরের বাইপাসে একজন অভিবাসী একটি মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান।
২০২১ সাল থেকে এমন ঘটনায় কমপক্ষে আরও তিনজন মারা গেছেন। কালে অঞ্চলের ইউরো টানেল এবং অন্যান্য ফেরি টার্মিনালের আশেপাশে অত্যন্ত উচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করার কারণে যুক্তরাজ্যে যেতে এখন বেশিরভাগ অভিবাসী সমুদ্রপথকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রাকে উঠে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। তারপরও অনেক অভিবাসী সমুদ্র পাড়ি দিতে নৌকায় উঠার অর্থ যোগাড় করতে না পারলে শেষ চেষ্টা হিসেবে চলন্ত গাড়িতে উঠে পড়ার চেষ্টা করেন। ইংলিশ চ্যানেলের চেয়ে এভাবে পার হওয়া আরও বেশি বিপজ্জনক হলেও নৌকায় যেতে অভিবাসীদের বিপুল অর্থ যোগাড় করতে হয়।
এম.কে
০২ জুন ২০২৩