বরিস জনসনের জীবনীকার টম বাওয়ারের মতে, পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে নিজের জন্য একটি থাকার জায়গা খুঁজে বের করা।
বাওয়ার বলেন, তার (জনসনের) লন্ডনে কোনো বাড়ি নেই। তিনি অক্সফোর্ডশায়ারের বাড়িটিও ভাড়া দিয়েছেন, কারণ তিনি মনে করেছিলেন বাড়িটি বহু বছর আর থাকা হবে না। ক্যারির ক্যাম্বারওয়েলে একটি ফ্ল্যাট আছে তবে এটি চারজনের জন্য যথেষ্ট বড় নয়, যাদের মধ্যে আবার দু’জন ছোট শিশু।
ক্যারির ফ্ল্যাট বসবাস উপযোগী হবে কীনা সেটাও ভাববার বিষয়। কারণ জনসন তার আবাসন, পরিবহন এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের একটি বড় অংশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে করদাতাদের দেওয়া ১৫৫ হাজার ৩৭৬ পাউন্ড বেতন দিয়ে কভার করতে অভ্যস্ত। এখন তার নিজের নামে নাকি একটি গাড়িও নেই।
তাই খুব শিগগিরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হতে চলা বরিস জনসনের জন্য বাইরের জগতের মুখোমুখি হওয়াটা কঠিন হয়ে উঠবে।
অপ্রত্যাশিতভাবে ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়ে যাওয়া সমস্ত প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়গুলি নিয়ে দ্রুত ভাবতে ভাবতে হয়েছে। ডেভিড ক্যামেরন ২০১৬ সালে যখন পদত্যাগ করেছিলেন, তখনও তার নটিং হিল বাড়িটি ভাড়ায় ছিল। তবে স্যার অ্যালান পার্কারে একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকায় সুবিধা পেয়েছিলেন তিনি। ১৭ মিলিয়ন পাউন্ডের হল্যান্ড পার্কের অতিরিক্ত বাড়ি ক্যামেরনকে ধার দিয়েছিলেন ওই বন্ধু।
আগামী দিনগুলোতে জনসনকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, বাওয়ার যোগ করেন। গৃহহীন হওয়ার হুমকির পাশাপাশি ক্ষমতায় না থাকা, চেকার না থাকা এবং কর্তৃত্ব না থাকা মনস্তাত্ত্বিকভাবে তাকে খুব খারাপভাবে আঘাত করবে।
৮ জুলাই ২০২২
এনএইচ
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান