করোনা ভাইরাস মহামারিতে লকডাউনের কারণে ছোট-বড় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে। স্বাভাবিক জীবন হয়ে গেছে এলোমেলো।
মানুষ এখন অফিসে ফিরে আসতে আগ্রহী, কারণ বাড়ি থেকে কাজ করে অনেকেই “ক্লান্ত” হয়ে পড়েছেন, ব্রিটেনের বৃহত্তম অফিস এবং রিটেইল কমপ্লেক্সের একজন পরিচালক বলেন।
ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের স্ট্রাটেজি প্রধান হাওয়ার্ড ডাবার বিবিসিকে বলেন, মানুষ এখন কর্মক্ষেত্র এবং বাড়ির মধ্যে সময় ভাগ করে নিতে চাইবে। তবে তারা অফিস যাওয়া এবং শহর-কেন্দ্রিক জীবনে আবার ফিরে যেতে চায়।
তিনি বিবিসির টুডে প্রোগ্রামকে বলেন, মানুষ কর্মক্ষেত্র থেকে এত দিন দূরে থাকার পরে অফিসে ফিরে আসতে আগ্রহী হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাসায় এতো দীর্ঘ সময় থাকতে থাকতে আমরা সবাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি।
তিনি বলেন,গত বছরের প্রথম কয়েক মাস বাড়ি থেকে কাজ করা আমাদের জন্য অনেক স্বস্তির ছিলো। আমরা বাড়ির নমনীয়, আরামদায়ক পরিবেশ উপভোগ করেছি। আমাদের এমন একটি ধারণা ছিল যে এটি একটি স্বল্পমেয়াদী প্রক্রিয়া। কিন্তু দীর্ঘদিন বাসায় থেকে কাজ করে সবাই এখন ক্লান্ত ও বিরক্ত।
তিনি বলেন, আমি মনে করি মানুষদের অফিস এবং বাড়ি মিলিয়ে কাজ করা সামাজিকভাবে আরো গ্রহণযোগ্য হবে। সপ্তাহে একদিন বা মাসে কয়েক দিন বাড়ি থেকে কাজ করা এবং বাকি দিন অফিসে কাজ করা বেশি যুক্তিযুক্ত আমার মতে।
আশা করা যায় যে ২১ জুন থেকে সামাজিক যোগাযোগের সমস্ত আইন শিথিল হবে। করোনা ভাইরাস বিধিনিষেধের অবসান ঘটাতে সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী ইংল্যান্ডের লোকেরা যেখানে সম্ভব সেখানে থেকেই কাজ করতে পারবে বলে আশা করছে অনেকে।
গত মাসে বার্কলেসের প্রধান নির্বাহী জেস স্ট্যালি বলেছেন, বাড়ি থেকে কাজ করা ‘টেকসই নয়’। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, বৃহত্তর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে সংস্কৃতি ও সহযোগিতা চায় তা বজায় রাখা দিন দিন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
সূত্র: বিবিসি
১ মার্চ ২০২১
এসএফ