TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

বিদঘুটে কেন বিদ্যালয়ের নাম

দেশজুড়ে রয়েছে কয়েক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এইসব বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে বেশকিছু বিদঘুটে ও শ্রুতিকটু নাম। তবে এসব নাম আর থাকছে না। দ্রুতই শ্রুতিকটু নাম বদলের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নেতিবাচক এবং শিশুমনে বিরূপ প্রভাব ফেলে এমন নামগুলো সংশোধনে চলতি বছর নীতিমালা প্রণয়ন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে যে সমস্ত স্কুলের নাম শ্রুতিকটূ, সেগুলি বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই নাম সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নাম বাছাই এবং তা চূড়ান্ত করার জন্য জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশে কিছু সরকারি স্কুলের ‘বিদঘুটে’ নাম রয়েছে। যেমন চুমাচুমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দাঁতভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুনুখাওয়া বালিকা বিদ্যালয়, চোরের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি।

অনেক সময় স্কুলের নামের নেতিবাচক প্রভাব শিশু হৃদয়ে পড়ে। এই কারণে নাম পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা।

বাংলাদেশ সরকার এই সমস্ত স্কুলের নাম কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধাদের নামে রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। স্থানীয় কোনও জনপ্রিয় ব্যক্তির নামেও এই নামকরণ করা যেতে পারে। কিন্তু, কোনও ব্যক্তি যিনি ফৌজদারি মামলায় অভিযোগ, দেশদ্রোহী কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত বা যুদ্ধপরাধী হয় তাহলে তাদের নামে স্কুলের নাম পরিবর্তন করা যাবে না।

আরো পড়ুন

বাৎসরিক আয়ে অষ্ট্রেলিয়া হতে এগিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

মামলার লাখো নথি বিনষ্ট করবে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন

ভাড়া বাসার আলিশান অফিসে বসেন সিলেটের এই পুলিশ কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক