9.3 C
London
May 6, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিকশীর্ষ খবর

বিশ্বের বিস্ময় যে মসজিদ

আফ্রিকার মালিতে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাটির মসজিদ। অনিন্দ্যসুন্দর এ স্থাপনাটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বিবেচিত।

মালির ডিজেনি শহরে ১২০০ থেকে ১৩০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে তৈরি হয়েছিল বড় মসজিদ নামে পরিচিত সুবৃহৎ একটি মাটির মসজিদ। মালির সুলতান কনবরু ইসলাম গ্রহণ করার পর তার রাজপ্রাসাদ ভেঙে ফেলে সেখানে দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটি তৈরি করান।

১৮২৮ সালে ফরাসি পর্যটক রেনে এ এলাকা সফর করেন। তার সফরের আগ পর্যন্ত এ মসজিদটি সম্পর্কে লিখিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। রেনে তার সফর শেষে লেখেন, ‘ডিজেনি শহরে মাটির তৈরি একটি মসজিদ আছে। এর দুই পাশে দুটি দর্শনীয় মিনার আছে।

এরপর থেকে মাটির তৈরি এ মসজিদ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। বানি নদীর তীরে অবস্থিত মসজিদটি ২৪৫-২৪৫ ফুট আয়তনবিশিষ্ট ৩ ফুট উঁচু প্ল্যাটফরমের ওপর তৈরি। বর্ষাকালে বানি নদীর প্লাবিত পানি থেকে মসজিদটিকে সুরক্ষা করে এ প্ল্যাটফরম। মাটির তৈরি সুবৃহৎ মসজিদের দেয়ালগুলো তালগাছের কাঠ, যা স্থানীয়ভাবে ‘টরল’ নামে পরিচিত- সেগুলো দ্বারা নকশা করা।

শুধু নকশা নয়, তালগাছের কাঠ মসজিদের দেয়ালে এমনভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে যাতে মাটির দেয়াল সহজে ধসে না যায়।

মধ্যযুগে আফ্রিকার এ অঞ্চলে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের প্রধান কেন্দ্র ছিল এ মসজিদটি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী তখন কোরআন শিক্ষার জন্য এ মসজিদে আসত।

২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারি মসজিদের ছাদের একটি অংশ এবং ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর এর দক্ষিণ দিকের মিনারের একটি অংশ ধসে পড়লে ‘দি আগা খান ট্রাস্ট কালচার’ নিজস্ব খরচে এর সংস্কার করে দেয়। ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো এ মসজিদটি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

অসাধারণ গঠনশৈলীর কারণে মসজিদটি শুধু সাধারণ দর্শনার্থীদেরই নয়, স্থাপত্যশিল্পীদেরও নজর কাড়ে। মসজিদটির উপরিভাগের মাটির ছাদ রক্ষার কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেই। এতে এমনভাবে মাটির প্রলেপ দেওয়া আছে যে, প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতেও ওই ছাদের কোনো ক্ষতি হয় না।

এম.কে
২০ জুলাই ২০২৩

আরো পড়ুন

বিদেশি কর্মী নিতে প্রস্তুতি সম্পন্ন জাপানের, নিবে দশ লাখ কর্মী

বেনিফিট আবেদনের জটিল সিস্টেমের কারণে যুক্তরাজ্য সরকার সমালোচিত

লন্ডন থেকে সিলেটে আসা ১৬৫ যাত্রী হোম কোয়ারেন্টিনে

অনলাইন ডেস্ক