চলমান ডলার সংকটের কারণে দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংকই নতুন করে খুলছে না তাদের ফি পাঠানো-সংক্রান্ত ফাইল। এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার আকাঙ্ক্ষা। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ডলার পাঠাতে না পারায় অনেকেরই ভর্তি বাতিল হয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা একাধিক শিক্ষার্থী সংবাদ মাধ্যমগুলোকে জানান, স্টুডেন্ট প্রোফাইল খোলার জন্য দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে তারা যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কেউই রাজি হয়নি। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে তাদের অনেকে নানা মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠাচ্ছেন।
বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরাও বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ডলার সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে স্টুডেট ফাইল খোলা বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক সীমিত পরিসরে চালু রাখলেও বেশির ভাগ ব্যাংকই ফাইল খোলা বন্ধ রেখেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে মলডোবায় থাকা শিক্ষার্থী আনন্দ রয় বলেন, এটা একেক দেশের একেক নিয়ম। মলডোবায় স্টুডেন্ট প্রোফাইল ছাড়া শিক্ষার্থী আসতেই পারবে না।
বিদেশে উচ্চশিক্ষাপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা মূলত দেশের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ভর্তি, টিউশন, আবাসন ফিসহ বিভিন্ন খরচ পাঠান। এজন্য ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের একটি ফাইল খুলতে হয়। বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয়, ব্যাংকগুলোর এমন সব এডি শাখা থেকেই ফাইল খোলার সুযোগ রয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ওই ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাঠান।
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা একাধিক শিক্ষার্থী জানান, স্টুডেন্ট ফাইল খোলার জন্য ইস্টার্ন, ব্র্যাক, ব্যাংক এশিয়া ও প্রাইম ব্যাংকে তারা যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কেউই রাজি হয়নি। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে তাদের অনেকে হুন্ডিকেই বেছে নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী বলেন, ডলার সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে স্টুডেট ফাইল খোলা বন্ধ রেখেছি। দেশের প্রায় সব ব্যাংকই ফাইল খোলা বন্ধ রেখেছে। আবার প্রভাবশালী কেউ তদবির করলে সেটি খুলতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর ঘটনা উৎসাহিত হবে।
১৫ নভেম্বর ২০২২
নিউজ ডেস্ক