পার্কিনসন রোগে আক্রান্ত এক ব্রিটিশ ব্যক্তি এবং ফ্রান্সে বসবাসরত তার স্ত্রী জানিয়েছেন ব্রেক্সিট-পরবর্তী অভিবাসন নীতির কারণে তারা বিপদে পড়েছেন।
এই দম্পতি যুক্তরাজ্যে কয়েক দশক ধরে কাজ করেছেন এবং কর প্রদান করেছেন। তবে তারা জানান, ” ইউকে সরকার আমাদের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।” হোম অফিসের পক্ষ হতে জানানো হয়েছে যদি এই দম্পতি ইউকেতে ফিরতে চান তবে ১১,০০০ পাউন্ড সরকারকে ফিস প্রদান করতে হবে।
আইটি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন কায়ে তার পুরো কর্মজীবনে যুক্তরাজ্যে কর প্রদান করছেন। তার ফরাসী স্ত্রী কারম্যান ডেলাউন প্রায় ২৫ বছর বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকুরী করেছেন এবং ট্যাক্স প্রদান করেছেন।
এই দম্পতি ২০১৫ সালে ডেলাউনয়ের প্রবীণ পিতাকে দেখাশোনা করার জন্য ফ্রান্সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ব্রেক্সিটের নতুন নিয়মের কারণে ২০২১ সালের পরে যুক্তরাজ্যে তাদের পরিশোধিত সকল কর মুছে ফেলা হয়।
নতুন বিধি অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের ব্রেক্সিটের কারণে ব্রিটেনে পাঁচ বছরের অবিচ্ছিন্ন ভাবে বসবাস না করলে যুক্তরাজ্যে অবাধে প্রবেশ নিষেধ করেছে।
কায়ে বলেন, “ ইংল্যান্ডে ফিরে আসার আমার স্বয়ংক্রিয় অধিকার ছিল না তা আবিষ্কার করে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। কোনো ‘সভ্য’ দেশে এ জাতীয় ভয়াবহ নিয়ম থাকতে পারে না।”
উল্লেখ্য যে, ব্রেক্সিট চুক্তির অধীনে ব্রিটিশ নাগরিকরা যারা ব্রেক্সিটের আগে একটি ইইউ সদস্য দেশে স্থায়ী হয়েছিলেন তাদের ইউকেতে ফেরার অধিকার আছে। তবে স্পাউস ভিসা সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন না করলে ইইউ স্ত্রী বা স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার অধিকার ছিল না।
এই বিষয়ের উপর হোমঅফিসের মতামত জানতে চাইলে তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ” যারা যুক্তরাজ্যে লম্বা সময়ের জন্য অনুপস্থিত তারা ইইউএসএস আবেদনের জন্য যোগ্য না হতে পারেন। তবে ব্রিটিশ স্পাউসের সাথে যুক্তরাজ্যে বাস করতে ইচ্ছুক অ-ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য অন্যান্য ভিসা আবেদনের বিকল্প রুটও রয়েছে।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১১ এপ্রিল ২০২৪