ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের ব্যাপারে ভোট হয় ২০১৬ সালের ২৩ জুন। ওই ভোটে ইইউ ত্যাগের পক্ষে রায় দেন ব্রিটিশ ভোটাররা। এবছর ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বিদায় জানায় ব্রিটেন। ইইউ থেকে বের হয়ে আসার ১০০ দিন পার হয়েছে। ব্রেক্সিট সিদ্ধান্তের পরিণতির একটি পরিষ্কার চিত্র ইতোমধ্যে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। ৩১ ডিসেম্বর রাতেও সে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। নিউ ইয়ার বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য শুধু ফ্রান্সের প্রতিবেশী নয়, বন্ধু দেশ। ব্রেক্সিটের পর কিভাবে সেই সম্পর্ক বজায় থাকবে, তা নিয়ে ফ্রান্স উদ্বিগ্ন।
ইইউ বিচ্ছেদ যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও অনেকে মনে করছেন কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই ধস নেমেছে অর্থনীতিতে।
২০১৬ সালের গণভোটের আগে সরকারের অর্থনৈতিক ও অর্থ মন্ত্রনালয় ট্রেজারি একটি প্রতিবেদনে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, ইইউ থেকে বের হয়ে আসার ২ বছরের ভিতর জাতীয় আয়ের পরিমাণ ৩.৬ শতাংশ হ্রাস পাবে, আরও ৫ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ বেকার হবে, এবং ব্রিটেনে বাড়ির দাম ১০ শতাংশ কমে যাবে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের পরিণতি অতটা খারাপ হয়নি। ২০১৮ সালের মধ্যে মোট দেশজ উৎপাদনে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, বেকারত্ব অনেকাংশে কমেছে এবং বাড়ির দাম গড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরপর ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনেক ওলট-পালট হয়ে গেছে। বেশিরভাগ দেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যুক্তরাজ্যও এর ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি।
তাই ব্রেক্সিটের বেশিরভাগ প্রভাব প্রকাশ পেতে আরো সময় লাগবে। লকডাউনের পরে সব ব্যবসা পুরোপুরি খোলা না পর্যন্ত ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিধি পরিষ্কার হবে না।
১১ এপ্রিল ২০২১
এসএফ