প্রায় এক হাজার ইউরোপিয়ান প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যে অফিস চালু করতে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা বোভিল বলছে, তাদের হিসেব অনুযায়ী বেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যে ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রায় দেড় হাজার মানি ম্যানেজার, পেমেন্ট ম্যানেজার এবং ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আবেদন করেছে। এরমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশেরই যুক্তরাজ্যে আগে কখনো অফিস ছিল না।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণায় লন্ডনকে একটি ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কেন্দ্রের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়।
বোভিলের ম্যানেজিং কনসালটেন্ট মাইক জনসন বলেন, এই ইউরোপিয়ান সংস্থাগুলোর বেশিরভাগই প্রথমবারের মতো ইউকেতে অফিস খুলতে যাচ্ছে, যা আমাদের পেশাদার আইনজীবী, হিসাবরক্ষক, পরামর্শদাতা এবং নিয়োগকারীসহ একাধিক ইন্ডাস্ট্রির খুবই জন্য খুশির সংবাদ।
তিনি আরও যোগ করেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর আগমন যুক্তরাজ্যের সার্ভিসভিত্তিক ব্যবসায়গুলোকেও চাঙ্গা করবে।
ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের ফাইনান্সিয়াল সেক্টরের উপর কি প্রভাব পরবে তা নিয়ে অনেক উৎকণ্ঠা কাজ করছিল সবার মনে। ব্রেক্সিটের কারণে নতুন নিয়মের অধীনে এরইমধ্যে আমস্টারডামে ইউরোপের বৃহত্তম শেয়ার-বাণিজ্য কেন্দ্র থেকে লন্ডনকে বের করে দেয়া হয়।
বোভিল হিসেব অনুযায়ী, ৪০০টিরও বেশি ইনস্যুরেন্স ফার্ম এবং ১০০টিরও বেশি ব্যাংক অফিস চালু করবে ইউকেতে। আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স এবং জার্মানির কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে। এরমধ্যে আয়ারল্যান্ডের ২৩০টি, ফ্রান্সের ১৮৬টি এবং জার্মানির ১৬৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও সাইপ্রাসের ১৫১টি, নেদারল্যান্ডের ১০৬টি এবং লুক্সেমবার্গের ১০১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন জমা দিয়েছে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এনএইচ