19.3 C
London
May 19, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

ভাগনার বিদ্রোহের সময় পাশে থাকায় চীন-ভারতকে ধন্যবাদ পুতিনের

দুই সপ্তাহ আগের ভাগনার বিদ্রোহের সময় সমর্থন দেওয়ায় চীন ও ভারতের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিদ্রোহের পর প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়ার জনগণ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ।

আজ মঙ্গলবার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেছেন পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও অংশ নেন।

বক্তব্যে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও উসকানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে মস্কো। তিনি বলেন, বিশ্বে নতুন একটি অর্থনৈতিক সংকটের ঝুঁকি বাড়ছে। এটা ঘটছে উন্নত দেশগুলোর অনিয়ন্ত্রিতভাবে ধারদেনা করা, বিশ্বজুড়ে বৈষম্য ও দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং খাদ্য ও পরিবেশ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে। এগুলোর প্রতিটি সমস্যাই জটিল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। সব মিলিয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে। রাশিয়া নিজেকে দিয়েই এগুলো বুঝতে পারছে।

রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধাদের বাহিনী ভাগনার গ্রুপের বিদ্রোহ নিয়েও কথা বলেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার জনগণ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন বেশি ঐক্যবদ্ধ। সশস্ত্র বিদ্রোহের চেষ্টার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তোলার মধ্য দিয়ে রাশিয়ার পুরো রাজনৈতিক পরিমণ্ডল ও সমাজ স্পষ্টত পিতৃভূমির ভাগ্যের বিষয়ে সংহতি ও উচ্চ মাত্রায় দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে। সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাশিয়ার নেতৃত্বের নেওয়া পদক্ষেপের প্রতি এসসিওর সদস্য যেসব দেশ সমর্থন জানিয়েছে, আমার সেই সব সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা ব্যাপকভাবে এর প্রশংসা করছি।’

এসসিওর আঞ্চলিক সন্ত্রাস দমন কাঠামোয় সংস্কার আনার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। একই সঙ্গে দ্রুত এই গ্রুপে বেলারুশকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমানে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সদস্য হিসেবে আছে চীন, ভারত, কাজাখস্থান, কিরগিজস্থান, পাকিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। এর বাইরে বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া ও ইরান এই সংস্থার পর্যবেক্ষক মর্যাদায় রয়েছে।

এম.কে
০৫ জুলাই ২০২৩

আরো পড়ুন

মক্কা-মদিনায় বন্ধ হলো তিন শতাধিক হোটেল

মেক্সিকোর সাথে সীমান্ত ক্রসিং ফের খুলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ার শরনার্থী শিশু জার্মানির সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু